1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন

বেলকুচিতে মাওলানা স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধূ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ৬৯৭ জন পড়েছেন

সবুজ সরকার স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মাওলানা স্বামীর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধূ মুমুর্ষ অবস্থায় বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। নির্যাতনের শিকার ঐ গৃহবধূর নাম কেয়ামনি (২৪) । সে বেলকুচি পৌরসভার শেরনগর গ্রামের জহুরুল ইসলাম ড্রাইভারের মেয়ে। জানাযায়, প্রায় ৬ বছর পূর্বে দৌলতপুর ইউনিয়নের বওড়া গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর ছেলে মাওলানা আশরাফ আলীর সাথে কেয়ামনির বিয়ে হয়।

নির্যাতনের শিকার হওয়া গৃহবধূ কেয়ামনি জানায়, বিয়ের পর থেকেই কারণে অকারণে তার মাওলানা স্বামী মারধর করে আসছে। কিন্তু মারধরের ঘটনা আমার পরিবারকে কখনওই বলিনি। আমার ৪ বছরের শিশু কন্যা আছে। সে যদি তার নানা -নানীকে বলতে নেয় আমি তার মুখ চেপে ধরে রাখি। আর নানা তালবাহানায় তা আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে গোপন করতাম। গত ৩রা ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিকালে আমার বাবার বাড়িতে একটা দিন বেশি থাকার কারণে আমার স্বামী মাওলানা আশরাফ আলী আমার উপর নির্মম ভাবে আঘাত করে। তার আঘাতে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে। আমি চাই তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক।

গৃহবধূর বাবা জহুরুল ড্রাইভার জানান, আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে নির্যাতন করে আসছে তার স্বামী,শশুর,শাশুরি। এ বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ৭/৮ বার পারিবারিক ভাবে শালিসও করেছেন। কিন্তু তাতেও আমার মেয়ে তার স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। সোমবার দুপুরে মেয়ে শশুর বাড়ির পাশের এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে মুঠোফোনর মাধ্যমে জানতে পারি আমার মেয়েকে মারধর করছে। আমি তাৎক্ষণিক ছুটে যায় আমার মেয়ের শশুর বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দেখি মেয়ে আমার একটা ঘরের ভিতরে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। পড়ে আমি তাকে ঐ অবস্থায় নিয়ে এসে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এসময় তিনি কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে এমন ভাবে মেরেছে অল্পের জন্য প্রানে বেচে গেছে। আমি এই অমানবিক নির্যাতের কঠিন বিচার চাই।

বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাসলিমা জান্নাত বলেন, রোগীর অবস্থা এখন শংঙ্কা মুক্ত। তবে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিয়মিত ভাবে ঔষধ সেবন করলে আশা কার যায় কয়েকদিনের মধ্যে রোগি সুস্থ হয়ে উঠবে।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনর্চাজ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মেয়ের বাবা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত স্বাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: