চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুরের চিরিরবন্দরে “করোনা ভাইরাস” মোকাবিলায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখতে ও জনসমাগম এড়াতে রাতের বেলা খেটে-খাওয়া মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া শুরু করেছেন চিরিরবন্দর “করোনা ভাইরাস জনসচেতন স্বেচ্ছাসেবী কমিটি”।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রাত ১২ ঘটিকা থেকে ৩ ঘটিকা পর্যন্ত উপজেলা শহর এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকার অসহায় সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জনসচেতন স্বেচ্ছাসেবী কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সুমন চন্দ্র দাস, যুগ্ন-আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিফাত শাহ, সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিকিন্দার আলী মির্জা, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শাহ, হাবিবুর রহমান (পান্ডে), আশরাফুল আলম, গোলাম সারোয়ার জনি, শাকিল ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান লাল, সোহানুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
করোনা ভাইরাস জনসচেতন স্বেচ্ছাসেবী কমিটির আহবায়ক সুমন চন্দ্র দাস জানান, আমাদের লক্ষ্য উপজেলার ২০ হাজার অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের পাশে দাড়ানো। আমরা বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আমাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। এই কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চলমান রাখছি এবং আগামীদিনে অব্যাহত থাকবে।উপজেলার প্রতিটি এলাকার অসহায় পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিব আমরা। আমাদের এই ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রম থেকে কোনো শ্রমিক, ভিক্ষুক দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ বাদ পড়বেন না। আমরা প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিব। কেউ যেনো একাধিবার ত্রাণ সহায়তা না পায় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি।
রাতে বেলা ত্রাণ বিতরণ কেন? এব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দিনের বেলাতে লক্ষ্য করা যায়, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের কথা শুনে এলাকায় মানুষের উপস্থিতিতে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় থাকে না। আমরা যেহেতু মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দিচ্ছি, সেখানে রাতের বেলাতে ত্রাণ সহায়তা দিতে জনসমাগম হয় না। এতে সরকারের যে ‘সামাজিক দূরত্ব’ নিশ্চিত করার নির্দেশনা সেটা নিশ্চিত করা যায়।
Leave a Reply