শার্শা (যশোর)প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অর্ধশত কর্মবিমুখ গরীব-দুস্থ পরিবারকে খুঁজে চাল, ডাল, আলু ও সাবান দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিনি ভ্যান-রিক্সাচালক ও নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ীদের হাতে এ অনুদান তুলে দেন। সুবিধাভোগীরা জানান, তিনি সরকারি পিকআপ যোগে এসে প্রত্যেককে চাল,ডাল, আলু, মসুর ডাল ও একটি করে লাইফবয় সাবান প্রদান করেন।
এ সময় তিনি তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন, আগামী কয়দিন বাড়িতেই থাকবেন।
পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনআনা দিনখাওয়া এসব ব্যক্তিরা পেটের জ্বালায় জীবন বাজি রেখে দু পয়সা রোজগারের আশায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাড়ীর বাহিরে যাচ্ছেন। কিন্তু শহর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের কোন উপার্জন নেই। হঠাৎ করেই ইউএনওর কাছ থেকে এভাবে চাল, ডাল অনুদান পেয়ে তারা ব্যাপক খুশি হয়েছেন। এ সময় শ্রমজীবী এ সকল মানুষ বলেন আগামী কয়েকদিন সরকারি নির্দেশনা মেনে বাড়িতেই থাকবেন। চাল-ডাল পাওয়া ভ্যানচালক মিজান বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে দারুণ কষ্টে দিন যাচ্ছিল। ইউএনও সাহেব খাবার গুলো দেওয়ায় দু-বেলা দুমুঠো ভাতের ব্যবস্থা হয়েছে। তাই জীবনের ঝুঁকিনিয়ে কয়েক দিন বাজারে বের হওয়া লাগবে না।
উপজেলার শোসা বিক্রেতা থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষও পেয়েছেন এ অনুদানের প্যাকেট। এসময় ভ্যান চালক মিজান বলেন,ইউএনও স্যার আমাদের আগামী সাতটা দিন বাড়িতেই থাকতে বলেছেন। এগুলো দিয়ে একয়দিন একটু কষ্ট করে চলতে বলেছেন। তিনি বলেন আমরা দিনআনা দিন খাওয়া মানুষ পেটের দায়েই বাজারে আসি। পেটের ব্যবস্থা হয়েছে এ জন্য কদিন বাড়িতেই থাকবো।
এভাবে শার্শা উপজেলার অর্ধশত গরীব পরিবারকে তিনি এ খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বাগআঁচড়া চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল,কায়বা চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল সাংবাদিক সেলিম রেজা তাজকে বলেন, আজ কিছু ভ্যানচালক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের খাবার দেয়া হয়েছে। অন্যদেরও তালিকা করা হয়েছে। আমি নিজে সরকারি অনুদান খাদ্য বিতরণ কাজ মনিটরিং করছি। কর্মহীন হয়ে পড়া এসব দিনমজুরদের সবাইকেই খাদ্য দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের খাদ্যদ্রব্যের কোন সংকট নেই।
Leave a Reply