1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ যুবক

আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হওয়া উচিত নয়

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০
  • ৭৮০ জন পড়েছেন

লেখক- মুহাম্মদ আনোয়ার শাহাদাতঃসমগ্র সৃষ্টি জগতের একক অধিপতি মহান মুনীবের দরবারে অবনত মস্তকে অশেষ কৃতজ্ঞতা আর বিশ্বমানবতার পরম হিতৈষী, মুক্তির দিশারী প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের প্রতি অগণন দুরুদ ও সালামের তোহফা পেশ করছি। সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ ’পৃথিবী’ নামক এই আবাসস্থলে আজ বিরাজ করছে ভয়ঙ্কর অবস্থা। ৪৫৪ কোটি বছর ধরে মানবসন্তারা পৃথিবী নামক এই গ্রহের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে যার ফলশ্রুতিতে প্রকৃতি এমন প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে যা সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষের পক্ষে সামাল দিয়ে উঠা দূরহ হয়ে পড়ে। থমকে যায় পৃথিবীর প্রাণস্পন্দন, নতজানু হয়ে আত্মসমর্পণ করে মানুষের সকল পাণ্ডিত্য আর আবিস্কার।

দাম্ভিকতা আর অহমিকার গালে জোরে চপেটাঘাত করে প্রকৃতি। নেমে আসে বিভিন্ন মহামারী। এ শতাব্দীতে সার্স, মার্স, জিকা, ডেঙ্গু, ইবোলার মতো প্রাণঘাতী রোগকে ছাড়িয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে চীনের করোনাভাইরাস যা পৃথিবীর ২০২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এই পর্যন্ত (৯ এপ্রিল রাত) প্রায় ৯২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।পৃথিবীর অধিবাসীরা শুধু অসহায় হয়ে মৃত্যুর মিছিলে শামিল হওয়া ছাড়া যেন আর কোন গত্যন্তর দেখছেনা এই মুহুর্তে!

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আজ অবনত মস্তকে হাটু গেড়ে বসে আছে ১২০ ন্যানোমিটার ব্যাসের অতি ক্ষুদ্র এক ভাইরাসের কাছে (এক ন্যানোমিটার সমান একমিটারের একশ কোটি ভাগের এক ভাগ)। মানবজীবন আসলে এমনই। মাঝে-মাঝে জান-মাল, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্তুতি সবকিছুই ভয়ানক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। জীবন হয়ে উঠে গতিহীন এবং হতাশার কালো মেঘে ছেয়ে যায় সময়ের ধারাপাত।

আল-কোরানের ভাষায় –”নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা, জান ও মাল এবং ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করবো। হে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন।” বিপদ আসবেই এবং আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। কিন্তু বিপদ যখন কিছুটা দীর্ঘ হয় এবং বিপদ থেকে উত্তরণের আপাত কোন উপায় সামনে থাকেনা তখন মানবমন বিচলিত হয়ে উঠে ও হতাশায় নিমজ্জিত হয়। হতাশা মানুষকে আল্লাহর অসীম রহমত আর অনন্য কুদরতের কথা ভুলিয়ে দিতে চায়। তখন মানুষ আল্লাহর সীমাহীন অনুগ্রহের কথা স্মরণ না করে নিরাশার দোলাচলে দুলতে থাকে অথচ মুমিনদের কখনো হতাশ হওয়া উচিত না।

পবিত্র কোরাআনে বর্ণিত ঘটনায় আমরা দেখতে পাই হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম বাধ্যর্কে উপনীত অবস্থায় যখন ফেরেশতারা তাঁকে এক জ্ঞানী পুত্রের সুসংবাদ দিলেন তখন ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম বিস্ময় ভরা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন এই বার্ধক্যে কীসের ভিত্তিতে আমাকে এই সুসংবাদ দিচ্ছ? ফেরেশতার বলল, বার্ধক্য আপনাকে স্পর্শ করেছে, করুক। আমরা আপনাকে সত্য সুসংবাদ দিচ্ছি অতএব আপনি নিরাশ হবেন না।

তিনি বললেন, পথভ্রষ্ট ব্যতীত পালনকর্তার রহমত থেকে কে নিরাশ হয়?(সূরা হিজর ৫৩-৫৬ নং আয়াত দ্রষ্টব্য) এভাবে আপনারা জানেন হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের সর্বাদিক প্রিয় পুত্র হযরত ইউসুফ আলাইহিসসালাম ও বিনইয়ামিনকে খুঁজে আনার জন্য যখন অন্য পুত্রদের নির্দেশ দিলেন তখন বললেন, ”বৎসগণ! যাও, ইউসুফ ও তার ভাইকে তালাশ কর এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।” (সূরা ইউসুপ ৮৭ নং আয়াত দ্রষ্টব্য)।

উল্লেখিত ঘটনাদ্বয়ে আল্লাহর দুই পয়গম্বরের শেষ কথা ছিল যারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে তারা কখনো আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে নিরাশ হয় না। মুমিনদের বিশ্বাস এমনই হওয়া উচিত যে, যতকাল বেঁচে থাকবে ততকাল যেন আল্লাহর রহমতের উপরই আশাবাদী হয়ে বেঁচে থাকে। তাই এই মহা মুসিবতের দিনে হতাশায় পযুদস্ত হয়ে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ তথা দেশের মানুষকে ’করোনা’ নামক মহামারী থেকে বাঁচাতে সকলের দায়িত্ব সকলকে সমভাবে পালন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেককে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত ও নফল ইবাদত করে আল্লাহর দরবারে অশ্রু ঝরাতে হবে। বিপর্যয় একদিন কেটে যাবে ইনশাহআল্লাহ। মহাগ্রন্থ আল-কোরানে রাব্বুল আলামীন বলেন, “কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে। অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি আছে”। (সূরা আলামনাশরাহ)।

হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা বড়ই গুনাহগার, বড়ই অকৃতজ্ঞ তারপরও তো তোমার বান্দা আর তোমার প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের উম্মত। আল্লাহ তুমি আমাদের ক্ষমা করো, আমাদের প্রতি রহম করো। আল্লাহ আমরা জানি, তুমি পরম ক্ষমাশীল, মহান দয়ালু। আর তোমার শাস্তি সেটাও অতি মর্মন্তুদ।(সূরা হিজর দ্রষ্টব্য)। আমরা বড়ই অসহায়, কঠিন সংকটের মুখোমুখি। এই মহামারী থেকে রক্ষা করার মালিক একমাত্র তুমি। আমরা অবনত মস্তকে সমর্পিত হৃদয়ে ক্ষমা ভিক্ষা করছি আল্লাহ, তুমি অমাদের ক্ষমা করো। সূরা আন-নমলের মধ্যে তুমি বলেছ, বান্দা যখন অসহায় হযে তোমাকে আহবান করে তখন তুমি সাড়া দাও এবং বিপদ আপদ দূর করে দাও। আল্লাহ! আমরা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি, অবিচার করেছি। নিজেদের সকল পাপ স্বীকার পূর্বক তোমার অনুগ্রহ কামনা করছি। কঠিন এই মুসিবতের সময় তোমার ঘোষণার কথা স্মরণ করে আমরা মনকে শীতল করি আল্লাহ। ঐশীগ্রন্থে তোমার ঘোষনা, “বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেন। সন্দেহাতীত ভাবে তিনি পরম ক্ষমাশীল, মহান দয়ালু।” (সূরা যুমার)

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: