1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হাবিব খান ইসমাইল বিএমডিএ’র আরও দুই কর্মকর্তা সাসপেন্ড, চেয়ারম্যানকে ভর্ৎসনা বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ফুটবল দলকে সম্মানী দিলেন আ: কাদের উৎসব রাজশাহী টেনিস প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড় বাছাই সম্পন্ন চেয়ারম্যানের ইন্ধনে প্রকৌশলীকে ফেরাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের মানববন্ধন মহান স্বাধীনতা দিবসে পর্তুগাল বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক সাইনবোর্ড দিলো স্কাউটস ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় ও এম এ এফ-এর আয়োজনে ইফতার মাহফিল  সোনালী ব্যাংক পিএলসি জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে ইসলামিক অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ

কালিগঞ্জে সরকারি ত্রান যাচ্ছে কোথায়, বিষ্ণুপুরে আশ্রায়ন প্রকল্পের ৪৭ পরিবার এখনও রয়েছে বঞ্চিত

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০
  • ৭৪৪ জন পড়েছেন

মোঃ মারুফবিল্লাহ, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ

সরকারী বরাদ্ধ ত্রান সামগ্রী কাদের জন্য, আর পাচ্ছে বা কারা? এমন প্রশ্ন সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্র, অসহায় ও দিনমজুর আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসরত ৪৭টি পরিবারের। অনেকে এখনও জানেই না করোনা ভাইরাস আসলে কি? শুধু গ্রাম পুলিশ সকালে সন্ধ্যায় এসে বলে যায়, কেহ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। ঘরের বাহিরে গেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কিভাবে সংসার চালাবো, কি খাবো তা শুনলে কিছু বলেনা চৌকিদার। এমনিভাবে মনের কষ্টের কথা বিলাপ করছিলেন উপজেলার নীলকন্ঠপুর আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসরত সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্ররা। শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে উঠে এসেছে অনেক নাজানা অমানবিক তথ্য। করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ না পেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছে ৪৭টি পরিবারের সদস্যরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নীলকন্ঠপুর গ্রামের গোয়ালঘেষীয়া নদীর ধারে গড়ে ওঠা গুচ্ছ গ্রামের ৪৭ টি হতদরিদ্র পরিবারের বসবাস। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ভুমিহীনদের নিয়ে তৎকালীন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে আবাসন প্রকল্প এবং গুচ্ছগ্রাম। যাদের অধিকাংশ পরিবার দিনমজুর, ভ্যানচালক, অসহায় ও হতদরিদ্র । ভিটেমাটি না থাকায় সরকারের আবাসন প্রকল্প গুচ্ছ গ্রামে ঠাই হয় এ সকল পরিবারের।করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাজ না পাওয়ায় তারা না খেয়ে কষ্টে দিনযাপন করছে। আবাসনের ১০ নং ঘরে স্ত্রী ও তার ৫ সন্তানদের নিয়ে বসে আছে পরিবারের কর্তা মদন কুমার দাশ। তিনি জানান, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি চোকিদাররা এসে নিষেধ করে গেছে যে ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। কিন্তু কোন খাবারের কথা বলেনি। ঘরে কোন খাবার নেই। বাইরে না গেলে, কাজ না করলে খাব কি? পরিবারের পাঁচজন মানুষ, ঘরে রান্না করার মত চাল নেই, কোন সাজ না খেয়ে আবার কোন সাজ মুড়ি ও পানি খেয়ে কষ্টে দিন চলে যাচ্ছে”। ৫ নং ঘরের জাহেরা খাতুন বলেন “সরকারি কোন অনুদান এখনও পাইনি। দিনজমুর স্বামী কাজ করতে না পারায় ঘরে খাবারের মত চালও নেই। ছেলে মেয়েদের কি খেতে দিবো তা নিয়ে বড়ই চিন্তায় আছি”। তাছাড়া ঘরের ছাউনীর অবস্থা খুবই খারাপ। এই মুহূর্তে যদি ঝড় বৃষ্টি হয় তাহলে ঘরে থাকা যাবে না। আমরা যাবো কোথায়? যাবার কোন জায়গা নেই। এভাবে বিগত দিনে ঝড় ঝামটা মোকাবেলা করে এসেছি কিন্তু ঘরের উন্নয়নে কেউ এগিয়ে আসেনি। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা নেই”। আমাদের পাশাপাশি ঘর হওয়ায় সবার মধ্যে অবাধ যাতায়াত। করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানতে চাইলে ভ্যানচালক আবাসনে বসবাসকারী আবুল হোসেন সরদার জানান, “দেশে করোনা আসছে শুনেছি কিন্তু করোনা কেমন আমরা জানিনা। ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করে গেছে তাই ভয়ে বাহির হচ্ছিনে। তবে আমার সংসারে উপার্জন করার মত আর কেউ নাই। ভ্যান না চালালে খাব কি? কোন অনুদান নিয়েও তো কেউ এগিয়ে আসেনি। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে আমারসহ এখানের বাসিন্দাদের”। নীলকন্ঠপুর গ্রামটিই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের সদস্য খলিলুর রহমান সরদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি করোনা ভাইরাস আসা থেকে এই পর্যন্ত জনগনের দেওয়ার মত কোন অনুদান পাইনি। ইউপি চেয়ারম্যান করোনা ভাইরাস এর জন্য সকল ইউপি সদস্যের কাছ থেকে দুই মাসের বেতন কেটে নিয়েছে, ইউনিয়নের প্রত্যেক ভ্যান চালকদের অনুদান দেবে বলে। কিন্তু আমার ওয়ার্ডের আবাসন প্রকল্পের এই গুচ্ছগ্রামে কয় জন ভ্যানচালক আর্থিক সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আর কাওকে দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই”। চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দীনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু কিছু অনুদান এসেছে, অধিকতর অসহায়দের তালিকা করে তাদের বাড়িতে ত্রান সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। তবে যারা রেশনকার্ড, ভিজিডি কার্ডসহ বিগত দিনে সরকারি ভাতাদী পাচ্ছে তারা করোনা ভাইরাস এর দান অনুদান পাবেনা”।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page