আবির হোসাইন শাহিন( সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি)
ভালো নেই তাতঁ সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জ বেলকুচির অধিকাংশ মালিক ও শ্রমিকেরা।ঈদকে সামনে রেখে এসময় ব্যস্ত থাকত তাতঁপল্লী সেখানে অনেকের চুলায় জলেনা বেশিরভাগ তাতঁ শ্রমিকের মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে তাতঁ মালিকেরা।
তাঁতিদের সবচেয়ে বড় মৌসুম বাংলা নববর্ষ আর ঈদের বাজার হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার প্রায় পাঁচ লাখ তাঁত শ্রমিক। উৎপাদনের পাশাপাশি আয় বন্ধ হয়ে পড়ায় জেলার ক্ষুদ্র এবং মাঝারি তাঁত কারখানা মালিকরাও এখন বিপর্যস্ত এই খাত।
বেলকুচি উপজেলার রান্ধনীবাড়ী গ্রামের তাতঁ মালিক হাবুল জানালেন, গত বছরের এই সময়ে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তৈরি বিশেষ ডিজাইনের কাপড় বুননের বিল দিয়ে তিনি এনজিওর ঋণ শোধ করেছিলেন। আর ঈদ মৌসুমের কাজের বিল দিয়া ঈদের কেনাকাটা আর বাড়তি খরচ করেছিলেন। কিন্তু এ বছর ঈদে ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় তো দূরের কথা পেটের খিদে কিভাবে মিটাবেন তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
তাঁত শ্রমিক এছতাক বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে আমি বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনিবাড়ি তাঁত শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। সারাবছর ধরে আমার মতো তাঁত শ্রমিকেরা বাংলা নববর্ষ আর ঈদ মৌসুমের অপেক্ষায় থাকি। এই সময়ের অতিরিক্ত আয় দিয়েই আমরা আমাদের সংসারের বাড়তি খরচ মেটাই। আর বছরের বাকি সময়ের বিল দিয়ে আমরা শুধু পেট চালাই। কিন্তু এবছর সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে এই ভাইরাস।
অপরদিকে শ্রমিকদের পাশাপাশি তাঁত কারখানার মালিকেরা ও পড়েছেন চরম বিপাকে। বেলকুচি উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামের ক্ষুদ্র তাঁত কারখানার মালিক মানিক ইসলাম বলেন, অনেক শ্রমিকরাই এখন তাদের সংসার চালাতে আমাদের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সামর্থ্য সীমিত হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ পাওয়ার অ্যান্ড ওনারহ্যান্ডলুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদিউজ্জামান জানালেন তাঁত কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় তাঁতী এবং তাঁত শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এই শিল্পকে বাঁচাতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
Leave a Reply