দেশব্যাপী চলমান করোনা সংকটের কারণে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে কাজিপুরের সোয়া দুইশ মোটর সাইকেল শ্রমিক। এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে নিরাপদ ও সহজ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল। উপজেলার নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, মনসুরনগর, খাসরাজবাড়ী ও চরগিরিশ ইউনিয়নের মধ্যে চলাচলের জন্য লোকজন ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ব্যবহার করে। এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যান, জাতীয় সংসদ সদস্যও এক চর থেকে অন্য চরে যাতায়াত করেন ভাড়ায় চালিত এই মোটর সাইকেলে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, নাটুয়ারপাড়া ঘাট এলাকায় ৬০ টি, চরগিরিশে ৪০ টি, পানাগাড়ি ঘাটে ৩৪ টি, জৌজিরা ঘাটে ২৩ টি, মনসুরনগরে ২১ টি, খাসরাজবাড়ীতে ২৫টি এবং নিশ্চিন্তপুর ঘাট এলাকা থেকে ১৮ টি মোটর সাইকেল প্রতিদিন চলাচল করে। কিন্তু চলমান সংকটের কারণে প্রশাসন বন্ধ করেছে এসব ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চলাচল। ফলে কর্মহীন এই নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির চালকগণের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তোজাম মন্ডল জানান, ‘দুই সপ্তাহ যাবৎ আমাদের গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাড়ি চালাতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। অথচ এখনও আমাদের সংসারের কথা কেউই ভাবে না।’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহীন জানান, ‘অনেক পেশার মানুষই ত্রাণ পাচ্ছে। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে না পারায় আমরা এখনও সাহায্য বঞ্চিত আছি। আশা করি সরকার আমাদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সহায়তার হাত বাড়াবেন।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান
সিদ্দিকী জানান, ‘পর্যায়ক্রমে তাদেরও সহায়তার আওতায় নিয়ে আসা হবে।’ কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী জানান, ‘কাজিপুরের এমপি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রি মোহাম্মদ নাসিম ও সাবেক এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা তালিকা তৈরি করছেন। তারাও পাবে।’
Leave a Reply