কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ সোহরাব উদ্দীন পেশায় একজন রিকশাচালক। প্রতিদিন সাত সকালে পেট ভরে কাঁচা মরিচ দিয়ে এক প্লেট পান্তা খেয়ে রিকশা নিয়ে বের হোন তিনি। দৈনিক রোজগার হয় ৩শ থেকে ৪শ টাকা। এ টাকা দিয়ে সংসারের খরচ সামলে সঞ্চয় করেন কিছু টাকা। স্বপ্ন তার ভাল একটি ঘর বানানোর। দুই মেয়ে, ১ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখে থাকার জন্য একটি ঘর খুব প্রয়োজন সোহরাব উদ্দীনের। বাড়ি ভিটাছাড়া জায়গা জমি বলতে তেমন কিছু নেই তার । ১৫ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে ঘর বানানোর জন্য জমিয়েছেন ২৬ হাজার টাকা। রিকশাচালক সোরহাবের স্বপ্নে থাবা বসালো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। ঘরবন্ধী কর্মহীন হয়ে গেলেন তিনি। তার মতো কর্মহীন অসহায় হয়ে পড়েছেন গ্রামের আরো অনেকে। তাদের ঘরে দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। এমন অবস্থায় ঘর বানানোর জন্য জমানো ২৬ হাজার টাকা দিয়ে অসহায় ১২০ পরিবারকে খাবার কিনে দিলেন রিকশাচালক সোহরাব উদ্দীন।
গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের অসহায় পরিবারে চাল, ডাল, আলুসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী শুক্রবার রাতে তিনি নিজে পৌঁছে দেন। এমন ঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
রিকশাচালক সোহরাব উদ্দীন বলেন, আমার ঘর হয়তো পরেও করা যাবে। অসহায় মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। তাদের জন্য ১০ বস্তা চাল কিনেছি। আমার কাছে টাকা থাকলে আরো বেশি পরিবারকে খাবার দিতাম। আমার কাছে টাকা থাকলে আমার গ্রামের মানুষ না খেয়ে থাকবে কেন?
শামীম শিকদার
কাপাসিয়া, গাজীপুর
Leave a Reply