বর্তমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাবিশ্ব যখন থমকে গেছে বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে সারা দেশের মানুষের মাঝে। দিনদিন কর্মহীন হয়ে পড়ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আর এমন সময় জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন 'ভয়েস অব কাজিপুর' পালন করে যাচ্ছে নানা কর্মসূচি। সমাজের মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, জীবানুনাশক স্প্রে, হাত ধোঁয়ায় উৎসাহী করা, স্যানিটাইজার সামগ্রী বিতরণ, বিনামূল্যে ঔষধসহ স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি।
এ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ১৫০২টি পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে এই সংগঠন। এর মধ্যে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ৪০২, দিনমজুর ৩২১, ভ্যানচালক ২০৩, বিধবা ১৫৬, প্রতিবন্ধী ১০৭, ঈমাম- মুয়াজ্জিন ৬৫, নৈশ্যপ্রহরী ৫৪, হিজড়া ৪১, মাঝি ২৮, মুচি ১১, কামার ০৯ ও অন্যান্য পেশার ১০৫ টি পরিবার। সহায়তা সামগ্রির মধ্যে ছিল, চাল, ডাল, চিনি, ছোলা, তেল, পিঁয়াজ, লবন, আলু ও সাবান।

কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের জন্য অর্ধশত পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট) দিয়ে সহযোগিতা করছে এই সংগঠন। এছাড়া বিভিন্ন স্পটে গিয়ে ১৫০০ পিস মাস্ক, ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ২০০০ জোড়া হ্যান্ড গ্লোভস, লিপলেট বিতরণ, সচেতনতামূলক মাইকিং, জীবাণুনাশক স্প্রে, ভ্রাম্যমাণ বেসিন স্থাপন করা হয়েছে।
'ভয়েস অব কাজিপুর' র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ হটলাইনের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হটলাইনের ০৯৬৩৮২০৬১৬১ নাম্বারে ৫৭৩ জন এবং ০১৭২২-৪৭০৫৮৫ নাম্বারে ১০৮ জনকে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। আর ঔষধ পৌঁছে দেয়া হয়েছে ২৪৫ জনকে।

ভয়েস অব কাজিপুরের প্রতিষ্ঠাতা আশকার পাইন বলেন, "মানবতার সেবায় ভয়েস অব কাজিপুর কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। বর্তমান করোনা ভাইরাসের মহামারিতেও দুঃস্থ, অসহায়, খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি আমরা৷ আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।"
বিত্তবানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আপনারা দয়াকরে এগিয়ে আসুন, আমরা সবাই যদি স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি তবেই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জিতবে বাংলাদেশ।"