1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimmahmudeee@gmail.com : Nasim Mahmud : Nasim Mahmud
  3. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
তারেক রহমানের সাক্ষাতকার বড় পর্দায় প্রদর্শন করলেন ছাত্রদল নেতা তারিক ভূল্লীতে হেযবুত তওহীদের গোলটেবিল বৈঠক: গণমাধ্যমের ভূমিকায় তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্ব ইতালি যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ ও সু সংগঠিত করতে ইতালি যুবদল লাস্পেসিয়া শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের জন্য IFAD-এর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ইতালির বিভিন্ন প্রভিন্সে যুবদল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা রামগঞ্জে ফিরছে বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির হোসেন পাটোয়ারী ঝালকাঠি–১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য’র ১০১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সাথে হাবিব খান ইসমাইলের সৌজন্যে সাক্ষাৎ   নেত্রকোনা-৪ আসনে ট্রাক প্রতীকের মনোনয়ন কিনলেন ইতালি প্রবাসী খান মুহাম্মদ অপি

আধুনিকতার যান্ত্রিক ছোঁয়ায় আজ হারিয়েগেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি ও গাড়ীয়াল পেশা!

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শনিবার, ৯ মে, ২০২০
  • ৪০৯ জন পড়েছেন

এম.দুলাল উদ্দিন: আমাদের গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বাহন ছিল গরুর গাড়ি। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদে কৃষি ফসল বহন ও মানুষ বহনের প্রিয় বাহন ছিল দু-চাকার গরুর গাড়ি।

আধুনিকতার যান্ত্রিক ছোঁয়ায় ও ডিজিটাল পদ্ধতির কাছে হার মেনে গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি এখন বিলুপ্ত। পাশাপাশি হারিয়েগেছে গরুর গাড়ির সাথে সম্পৃক্তত থাকা গাড়িয়াল পেশাও। গ্রামগঞ্জের আঁকা বাঁকা মেঠো পথে এখন আর তেমন চোঁখে পড়ে না পূর্বের সময়কালের অতি প্রয়োজনীয় গরুর গাড়ি। দেশের গ্রামীণ জনপদের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি বাহনের সরগরম অস্তিত্ব ছিল এবং ছিল সর্বত্র এই গরুর গাড়ির কদর। বর্তমানে দেশে ডিজিটাল পদ্ধতির ছোঁয়া লাগাতেই গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি ও গাড়িয়াল পেশা এখন বিলুপ্তপ্রায়।

গরুর গাড়ি নিয়ে কবি লেখকরা কবিতার ভাষায় লিখেছেন কবিতা আর শিল্পীরা গেয়েছেন কতই না ভাওয়াইয়া গান। ভাওয়াইয়া গানের মধ্যে অন্যতম গান হলো ওকি গাড়িয়াল ভাই,কত রবো আমি পন্থের দিকে চাইয়ারে…….।

বর্তমানে গরুর গাড়ি ও গাড়িয়াল পেশা এখন বহন করে শুধুমাত্র রূপকথার গল্পমাত্র এবং বিলুপ্ত হয়ে স্থান পেয়েছে সংবাদপত্র ও বইয়ের পাতায়। মাঝেমধ্যে প্রত্যন্ত এলাকায় হঠ্যাৎ দু-একটি গরুর গাড়ি চোঁখে পড়লেও শহরাঞ্চলে একেবারেই দেখা যায় না। আধুনিক সভ্যতায় ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি হারিয়ে গেছে। সে কারণে শহরের ছেলেমেয়েরা তো দূরের কথা,বর্তমানে গ্রামের ছেলেমেয়েরাও গরুর গাড়ির শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নয়। আবার অনেক শহরে শিশু হঠ্যাৎ গরুর গাড়ি দেখলে বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করে গরুর গাড়ি সম্পর্কে। যুগ যুগ ধরে কৃষকের কৃষি ফসল বপন ও বহনের গুরুত্বপূর্ণ বাহন হিসেবে পরিচিত ছিল গরুর গাড়ি।

গরুর গাড়ি দুই চাকাবিশিষ্ট গরু বা বলদে টানা এক প্রকার বিশেষ যান। এ যানে সাধারণত একটি মাত্র অক্ষের সাথে চাকা দুটি যুক্ত থাকে। গাড়ির সামনের দিকে একটি জোয়ালের সাথে দুটি গরু বা বলদ জুটি মিলে গাড়ি টেনে নিয়ে চলে।

দুই যুগ আগে গরুর গাড়িতে চড়ে বর-বধূ যেত। গরুর গাড়ি ছাড়া বিয়ে হতো না। বিয়ে বাড়ি বা মাল পরিবহনে গরুর গাড়ি ছিল একমাত্র পরিবহন ।

বরপক্ষের লোকজন বরযাত্রী ও ডুলিবিবিরা বিয়ের জন্য ১০ থেকে ১২টি গরুর গাড়ির ছাওনি (টাপর) সাজিয়ে শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ি আসা-যাওয়া করতো। রাস্তাঘাটে গরুর গাড়ি থেকে পটকাও ফুটাতো। বিয়ে এবং অন্য কোন উৎসবে গরুর গাড়ি ছাড়া পূর্ণতা পেতো না। হাতে গোনা দু’একটা গাড়ি দেখা যায় গ্রামের মেঠো পথে তাও জরাজীর্ণ অবস্থায়। তাছাড়া আর চোঁখেই পড়ে না এই গরুর গাড়িগুলো। কিন্তু শহরের ছেলে মেয়েরাতো দুরে থাক গ্রামের ছেলে মেয়েরাও গরুর গাড়ির এই বাহনের সাথে পরিচিত না খুব একটা। আগে অনেকেরই এই গরুর গাড়ি ছিল উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন কিন্তু এখন আর গরুর গাড়ি চলে না। যে সব পরিবারে গরুগাড়ি ছিল,তাদের কদরের সীমা ছিল না। কৃষকরা প্রতিদিন ফজরের আজানের আগে গরুর গাড়িতে কখনো জৈব সার তথা গোবরের সার,কখনো গরুর খাবার ও লাঙ্গল-মই-জোয়াল নিয়ে যেতো মাঠে। আবার মৌসুমের সময় পাকাসহ বিভিন্ন ফসলাদি বহন করতো।

বর্তমান যুগ হচ্ছে যান্ত্রিক যুগ। মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় মালামাল বহনের জন্য বাহন হিসেবে ব্যবহার করছে ট্রাক,পাওয়ার টিলার,লরি,নসিমন-করিমনসহ বিভিন্ন মালগাড়ি। মানুষের যাতায়াতের জন্য রয়েছে মোটরগাড়ি, রেলগাড়ি,বেবিট্যাক্সি,অটোরিকশা ইত্যাদি। ফলে গ্রামাঞ্চলেও আর চোঁখে পড়ে না গরুর গাড়ি। অথচ গরুর গাড়ির একটি সুবিধা হলো,এতে কোনো জ্বালানি লাগে না। ফলে ধোঁয়া হয় না। পরিবেশের কোনো ক্ষতিও করে না। এটি পরিবেশবান্ধব একটি যানবাহন। রিকসা বা ঠেলাগাড়ির মতো গরুর গাড়িও একটি পরিবেশবান্ধব যান ছিলো। এতে কোনো জ্বালানি খরচ ছিলো না। ছিলো না শব্দ দূষণ । তেল,গ্যাস,বিদ্যুৎ এসব কিছুই এই যানে ব্যবহার হতো না। এই গরুর গাড়ি ধীর গতিতে চলতো বলে কোনো দুর্ঘটনাও ঘটতো না। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে আমাদের প্রিয় এই গরুর গাড়ির প্রচলন আজ হারিয়ে গেছে।

গ্রামীণজনপদে এক সময় আঁকড়ে ধরে ছিলেন এমন একজন গাড়িয়ালের সাথে কথোপকথনে জানা যায়,আগে আমাদের বাপ-দাদারা গরুর গাড়ি চালিয়ে আমাদের সংসার চালাতো। কিন্তু এখন গরুর গাড়িতে আর কেউ চড়তে চাইনা। তাই অটো ভ্যান ও ইজিবাইক চালিয়ে গাড়িয়ালরা তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে এখন গরুর গাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বাংলা এবং বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে আমাদের মাঝে ধরে রাখতে গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি ও গাড়িয়াল পেশাকে টিকেয়ে রাখা প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন গ্রামীণজনপদেরথ মানুষ।

এস/আর/শাহিন রেজা। 

 

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page