সুজন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি॥ ঠাকুরগাঁওয়ে রাস্তা পাকাকরণ কাজের ৪৮ হাজার ইট, ২৫০ সেপটি পাথর, প্লেনসিট ও রড চুরি করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন কৃষক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে।

রোববার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমনি অভিযোগ করেন জেলার প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার রাম বাবু।

অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম শাসলা পিয়ালা গ্রামের আজির উদ্দীনের ছেলে এবং তিনি ওই ইউনিয়নের কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়াও অভিযুক্ত একই গ্রামের মুতাশাহার ছেলে সইদুল ইসলাম ও দবির উদ্দীনের ছেলে শামসুল আলম।

যান যায়, দীর্ঘ ৮ মাস আগে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্যাকেজে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের শাসলা পিয়ালা গ্রামে দেড় কিলোমিটার ও সদরের সালন্দর ইউনিয়নের চৌধুরী হাট এলাকা দেড় কিলোমিটার করে ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণ কাজের টেন্ডার ডাকা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন্ডার ফেলার পর রাস্তাপাকাকরন কাজের ওই টেন্ডারটি পায় ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার রাম বাবু। এরপর থেকে ওই দুটি রাস্তা পাকাকরণ কাজ শুরু করেন তিনি।

হঠাৎ করেই চুরি হতে শুরু করে শাসলা পিয়ালা রাস্তা পাককরণ কাজের সরঞ্জাম। এরপর রোববার বিকেলে স্থানীয়রা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মর্কতারা সন্ধেভাবে ইউনিয়ন বিএনপির নেতার বাসায় তল্লাশী চালালে তার গোয়াল ঘড়ের থেকে চুরি করা ইট-পাথর,রড,প্লেসিট উদ্ধার করে। এসময় একই এলাকার আরো দুইজনের বাসায় তল্লাশী করলেও রাস্তার কাজের অনেক ইট পাওয়া যায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার রাম বাবু অভিযোগ করে বলেন, শাসলা পিয়ালার মিলনপুর সড়কের দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজের জন্য সেখানে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ ইট নেয়া হয়। বেশকিছু দিন ধরে রাতের আঁধারে কে বা কাহারা ঘটনাস্থল থেকে ৪৮ হাজার ইট, ২৫০ সেপটি পাথর, কয়েকটি প্লেনসিট ও রড চুরি করে।

এরপরে রোববার বিকেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা সইদুল ইসলাম ও শামসুল আলম ইট-পাথরগুলো চুরি করেছেন। এরপর স্থানীয়দের সহায়তা শহিদুল ইসলামের বাড়ির ভেতর থেকে ১২ হাজার ইট, ১৫০ সেপটি পাথর, ১টা প্লেটসিট, ৩ পিস রড উদ্ধার করা হয় এবং সইদুল ইসলাম ও শামসুল আলমের বাড়ি থেকে আরও ৬শ পিচ ইট উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ঠিকাদার রাম বাবু।

এদিকে ইট, পাথর, প্লেনসিট ও রড উদ্ধারের পর থেকে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেছে কৃষক দলের নেতা শহিদুল ইসলাম,স্থানীয় বাসিন্দা সইদুল ইসলাম ও শামসুল আলম। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ইট-পাথর চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।