নাসিম আহমেদ রিয়াদঃ
সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কাজ করছেন পূর্ণিমাগাঁতী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আল আমীন সরকার। ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মজীবীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে নজরদারি করছেন তিনি। দাঁড়িয়েছেন করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় দতদরিদ্র পরিবারের পাশে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করছেন। এই ক্লান্তিকালে হতদরিদ্রদের জন্য কাজ করা সামাজিক সংগঠনকে সহযোগিতা করে সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের মনোবল শক্ত রাখছেন। রাতের আঁধারে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন অসহায় হতরিদ্রদের ঘরে।
পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন এ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবক কমিটিসহ গঠনমূলক ভাবে করছেন বিভিন্ন কাজ। লকডাউনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ী, ভ্যান চালক, নাপিত কামার-কুমার, বিভিন্ন পেশার মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবক টিম ও ইউপি সদস্যকে দিয়েছেন করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী। যেখানে ছিল স্যুট, গ্লাবস, মাস্ক, গগলস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, স্প্রে মেশিন ও জীবাণুনাশক ঔষধ।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি কর্মহীন অসহায় হতরিদ্রদের ঘরে খাবারও পৌঁছে দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আল আমীন সরকার। বিশেষ ভাবে নজর রেখেছেন নিন্ম আয়ের শ্রমজীবী মানুষের প্রতি। নাপিত, শীল, মুচি, চা ও হোটেলের কর্মচারী, পরিবহন শ্রমিক এবং ইমাম মোয়াজ্জেমসহ অসহায় প্রায় ৩ হাজার পরিবারে খাদ্য সমাগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, আলু, চিনি পেঁয়াজ, রসুন। এক সপ্তাহে ইউনিয়নের , পূর্ণিমাগাঁতী, হাট দেলুয়া, গোয়ালজানি, বেটুয়াকান্দি, পুকুরপাড়, বেতুয়া, ভেংড়ী, পুঠিয়া, ঘিয়ালা, ফলিয়া, দহপাড়া, কোমলকান্দি, চক রহিম, মধুপুর,ভামনঘিয়ালা, খসালপুর গ্রাম ও এলাকা ঘুরে ঘুরে তিনি এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
করোনাকালীন সময়ে পূর্ণিমাগাঁতী বাজার, গয়হাট্টা বাজার এলাকার মানবতার ঘরের জন্য পরোক্ষ ভাবে কাজ করছেন আল আমীন সরকার। রাতের আঁধারে মানবতার ঘরের গাড়ি খাবার নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। পৌঁছে দিচ্ছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সমাগ্রী। সে মানবতার ঘরের খাবার কেনার আর্থিক সহযোগিতার তিনি করছেন বলে জানান মানবতার ঘরের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আল-আমিন সরকার। চক রহিম গ্রামের রিকশাচালক ইব্রাহিম উদ্দীন ঘর বানানোর জন্য ১৫ বছর ধরে জমানো ২৬ হাজার টাকায় অসহায়দের খাবার দেওয়ার পর তাকে ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছেন।
পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের ঘিয়ালা গ্রামের রাজিয়া বেগম, পুঠিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান, কোনাগাতি গ্রামের মাসুমা বলেন, আমরা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খাদ্য সামগ্রী পেয়েছি। তিনি আমাদের ঘরে এসব খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা খুব আনন্দিত।
পূর্ণিমাগাঁতী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আল আমীন সরকার বলেন, এই ক্লান্তিকালে মানুষের কল্যাণে সাধ্য মতো পাশে থাকার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অসহায় মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। করোনা প্রতিরোধে আরো বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। এ ব্যপারে জেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসনসহ অনেকে সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামান । তিনি করোনা প্রতিরোধ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিবন্ধকতা নিরসনে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। তবে মানুষ সচেতন না হলে কোন ভাবেই করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
Leave a Reply