সবুজ সরকারঃ
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় রুপনাই গ্রামে এনামুল হক (২৮) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিশু সন্তান ও স্ত্রী স্বর্না খাতুনকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি শাজাদপুর উপজেলাধীন এনায়েতপুর থানার রুপনাই গাছপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় স্বর্ণা খাতুন বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্নালে-১ আদালতে এনামুলসহ ৫ জনের নামে মামলা করে।
বাদী স্বর্ণা খাতুন (২৪) বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মতি মার্কেট এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে। আসামী এনামুল হক (২৮) একই উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের গয়নাকান্দী গ্রামের মালায়েশিয়া প্রবাসী আবু ছাইদ শেখের ছেলে।
স্বর্না খাতুনের মা লিপি খাতুন জানান, ৪ বছর আগে বাড়ির সকলের অমতে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। রুপনাই গাছপাড়া গ্রামের আবু সাইদ শেখের ছেলে এনামুল হকের সঙ্গে স্বর্না খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর তাদের কোলজুরে ফাতেমা নামের এক কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে এনামুল হক তার আমার মেয়ে স্বর্না খাতুনকে মারপিট করে শিশু সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়।।
স্বর্না খাতুন জানান, আমাকে ভারোবেসে ৪ বছর আগে বিবাহ করেন এনামুল হক। বিয়ের পর থেকেই ঢাকা ছিলাম ওখানে কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু আমার শাশুড়ি অসুস্থ হওয়ায় ঢাকা থেকে শশুড় বাড়ি চলে আসি। আসার পর থেকেই আমার স্বামী ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য চাপ দেই এবং বেধরক মারপিট করে। ৩ মাস আগে আমার শিশু সন্তান সহ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি এই বিষয়টা এলাকার মাতবারদের জানালে তারা এই বিষয়ে মিমাংসা করে দিতে পারে নাই। ১ মাস যাবৎ বিভিন্ন মাতব্বরসহ মানুষের দ্বারেদ্বারে ঘুরেও কোনও বিচার পাই নাই। বিচার না পেয়ে ৫ জনকে আসামি করে সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্নালে-১ মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে জানতে স্বামী এনামুল হকের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি অন্য জনকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাশ্মীর সুলতানা এই প্রতিবেদককে জানান, করোনার কারনে মামলা তদন্ত করতে পারছিনা। করোনা পরিস্থিতি শিথিল হলে তদন্ত করে কোর্টে পাঠানো হবে।
Leave a Reply