1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন

সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বেড়াজালে রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০
  • ১৮৯ জন পড়েছেন

মাজহারুল ইসলাম চপল, রাজশাহী: সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বেড়াজালে জর্জরিত
রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর । নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিজের সেচ্ছাচারিতা নিয়ে চলছে রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্যক্রম। আর এর পিছনে রয়েছে বড়দার হাত যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কে এই বড়দা? অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই বড়দা আর কেউ নয় রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলাম। তিনি যেন অ¤্রতি শরবত পান করে বিভিন্ন অনিয়ম করে চলেছে নির্দিধায়।

দেশে আজ মৃত্যু বুলেট কোভিট-১৯ এর বেপরোয়া আঘাতে জর্জরিত। দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে লড়াই করছে দেশের সরকার অর্থাৎ মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে দীর্ঘদিন লকডাউন ও সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছে সরকার। কিন্তু এই নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছেমত চালিয়ে যাচ্ছে অফিসিয়াল সকল কার্যক্রম। শুধু তাই নয় নিজের খেয়াল খুশি মত পারিবারিক সকল কার্যক্রম করে চলেছেন প্রতিনিয়ত অফিসের গাড়ি দিয়েই, যা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ অনুসন্ধানে জানা যায় গত ১৯ মে মঙ্গলবার তার বাড়ির কাজের মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য এই অফিসের গাড়ি পাঠানো হয় চাপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে। পরে এই কাজের মেয়েকে নিয়ে তিনি রওনা হন দেশের বাড়ি যশোরে। কিন্তু অফিসিয়াল কাজ বন্ধসহ বাইরে চলাচলের বিধি নিষেধ রয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। এর আগেও লকডাউন ও সাধারণ ছুটিকে উপেক্ষা করেই হরহামেশাই অফিস করে চলেছেন তিনি। তার নিজের ইচ্ছেমত যেকোন জায়গায় যেতে পারেন, যা কোন ধরনের ছুটি বা অনুমতির প্রয়োজন হয়না। অফিসিয়াল বিভিন্ন প্রয়োজনে লোকজন গেলে আফিসের কর্মরত ষ্টাফ বলেন স্যার নাই। স্যারের না থাকার কারন জানতে চাইলে তারা বলেন স্যার ছুটিতে আছেন। তবে এই দুর্নীতির সাথে সামিল রয়েছে তার আস্থা ভাজন দুইজন কর্মচারি ও কর্মকর্তা। তবে তার ড্রাইভার বাদশার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অনিয়মের কিছু অংশ স্বিকার করেন, যার ফোন রেকর্ড রয়েছে। আবার এই বাদশার বিষয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ, যা হতবাক করার মত। বাদশার নামে হত্যা মামলাসহ রয়েছে বেশকিছু মামলা, যা চলমান।

তবে এই নির্বাহী প্রকৌশলির বিষয়ে খবর নিয়ে জানা যায়, তিনি এক অলৌকিক ক্ষমতায় বিভিন্ন অনিয়ম করে চলেছে। তার বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইলে তাকে বদলিসহ চাকরি থেকে স্থগিত করে রাখেন তিনি। যার প্রমান এই অফিসে গেলেই বোঝা যাবে। বিগত এই অল্প কয়দিনের মধ্যে এতোকিছু করছেন কোন চেরাগে হাত রেখে যা ভাবার বিষয়। শুধু তাই নয় এই রেজাইল ইসলাম রাজশাহীতে যোগদানের পর থেকে ১৮ থেকে ২০ টি টেন্ডার করেন, আর কাজ পাওয়া প্রতিটি ঠিকাদারের নিকট থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেয় সিএস অনুমোদনের দোহাই দিয়ে। এছাড়াও যেকোন ধরনের বিল পাশের জন্য তিনি মোটা অংকের উৎকোচ ছাড়া বিল পাশ করেননা। হিসাবরক্ষক আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে করে থাকেন। যা আমিনুল ইসলামের ফোন রেকর্ড যাচাই করলে প্রমান মিলবে।

এবিষয়ে জানতে (প্রায় দুই সপ্তাহ আগে) নির্বাহী প্রকৌশলি মোঃ রেজাউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করি। তার ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে জান। কিন্তু ১৯ মে’র ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: