সবুজ সরকারঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি-এনায়েতপুরে গত ১৭ মে (রবিবার) সকাল থেকে লকডাউন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বস্ত্রবিতাণ সহ বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। সরকার কর্তৃক ঈদকে সামনে রেখে সিমীত আকারে বস্ত্রবিতাণ সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল । কিন্তু সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতার অভাব হওয়ার কারণে আবারও এ সকল দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু লকডাউন মানছেনা বেলকুচি-এনায়েতপুরের সাধারণ মানুষ। মার্কেটগুলোর দোকান-পাট বন্ধ থাকলেও উপচে পড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার সকালে বেলকুচির মুকুন্দগাতী বাজার ও এনায়েতপুর কেজির মোড় বাজারের চিত্র পুরাটাই ভিন্ন দেখা যায়। দোকানীরা নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। দোকান বন্ধকরে বাহিরে লোক সেট করেছে দোকানীরা। কেউ কিছু ক্রয় করতে আসলে মোবাইলে ফোন অথবা দোকানের সামনে এসে দারালেই বলে কি নিবেন। এভাবেই চলছে বেলকুচির মুকুন্দগাতী বাজারের বিকিকিনি।
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ের এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ই মে (রবিবার) থেকে সকল প্রকার বস্ত্রবিতাণ বন্ধ থাকবে। তবে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। তার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান, কাঁচাবাজার ও অন্যান্য সরকার ঘোষিত পরিসেবাসমূহ পূর্বের জারীকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তাছাড়াও মটরসাইকেল, ভ্যান, রিক্সা সহ ইঞ্জিন চালিত যানবাহন ৪টার পরে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ জানান, আপনারা ইতিমধ্যে অবহিত হয়েছেন আগামী ১৭ ই মে থেকে আবারও বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট সহ শপিংমলগুলো বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারী হয়েছে। আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিই ভ্রাম্যমাণ পরিচালনা করে আসছি।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই গণবিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে আর সর্বসাধারণকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এই নির্দেশনার বাহিরে কেউ গেলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বেলকুচির সকলকে এসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিনা কারণে বাহিরে না এসে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে চলাচল করতে অনুরোধ করছি।
Leave a Reply