1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন

করোনা দুর্যোগে নিবেদিতপ্রাণ সেরা ১০ জনের মধ্যে এমপি হাবিবে মিল্লাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় : রবিবার, ২৪ মে, ২০২০
  • ৬৩৫ জন পড়েছেন

চলছে স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্যোগ! সমগ্র পৃথিবীজুড়ে চলছে লকডাউন! বাংলাদেশেও ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) এর কারনে। বর্তমান করোনা দূর্যোগে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বার বার। সেই সাথে স্থানীয় অনেক এমপির বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী, কোটিপতি, ধনী এমপি যারা রয়েছেন, তারা ঢাকায় বসে আছেন। এলাকার কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। এই রকম অভিযোগও পাওয়া গেছে। তবে সমালোচনার মধ্যেও কিছু কিছু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এলাকার এমপি তাদের সংসদীয় এলাকায় নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগণের অভাব, অনটন, দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন এবং জনগণের ভালবাসায় তারা সিক্ত হয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত এমন ১০ জন এমপিকে নিয়ে আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন।

তোফায়েল আহমেদ: করোনা সংকটের শুরু থেকে তোফায়েল আহমেদ তার এলাকার কোনো মানুষ যাতে দুঃখ দুর্দশায় না থাকেন, সেই পদক্ষেপ নিয়েছেন। দফায় দফায় তিনি খাবার পাঠাচ্ছেন এবং তার উদ্যোগে সেখানে দুঃস্থদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দুঃস্থদের নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু দুঃস্থ নয়, মধ্যবিত্ত ও যারা এখন অনটনে রয়েছে তাদেরকেও সহযোগিতা করা হচ্ছে তোফায়েল আহমেদের উদ্যোগে।

শামীম ওসমান: নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমান করোনা সংকটের শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রথমত, তিনি দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, তার এলাকার করোনায় আক্রান্তরা যাতে চিকিৎসা পায় তা নিশ্চিত করছেন। তার উদ্যোগে করোনা পরীক্ষার ল্যাব প্রতিষ্ঠা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। শুধু তা-ই নয়, নারায়ণগঞ্জে করোনায় যারা মারা যাচ্ছে তাদের দাফন যাতে ঠিকমতো হয় সেই ব্যাপারেও তিনি তদারকি করছেন। করোনা সংকটের সময় তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

ডাঃ হাবিবে মিল্লাত: ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি। ৬৩, সিরাজগঞ্জ ২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য। তিনি একজন দেশবরেন্য চিকিৎসক এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরু থেকেই যিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশের ও আন্তর্জাতিক বিখ্যাত সকল চিকিৎসক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ সকল সাহায্যকারী সংস্থার সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে করোনা থেকে মুক্তির জন্য সুফল বয়ে আনার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন ডাঃ হাবিবে মিল্লাত। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একদিকে সরকারের সবচেয়ে আস্থার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, সকল সংস্থার সাথে নিবেদিত রেখেছেন নিজেকে। রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে সাধারন মানুষকে সচেতন করছেন। অন্যদিকে নিজ সংসদীয় এলাকা সিরাজগঞ্জের অসহায়, দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন বুক উজার করে! লকডাউনে গৃহবন্দী অসহায় মানুষদের জন্য ত্রান সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন, গরীব দুঃস্থদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন ডাঃ হাবিবে মিল্লাত। শুধু ত্রাণের খাদ্য সামগ্রী বিতরণই নয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করছেন দেশের স্বনামধন্য এই বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন। গত কয়েকদিনে প্রায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক, সাবান আর হ্যান্ডস্যানিটাইজারও। এমনকি নিজে গিয়ে খাবার পৌছে দিয়েছেন অসহায়দের ঘরে ঘরে। নিজে খাবারের বোঝা বয়ে নিয়ে গিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌছে দেয়ার এমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়তো এই প্রথমবারের মতো দেখলো দেশবাসী। করোনা সংকটে ডাঃ হাবিবে মিল্লাতের অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী, ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি: জামালপুরের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি করোনা ভাইরাস মহামারী সংকটের মধ্যেও তার নিজ নির্বাচনী এলাকা জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ি উপজেলায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খুঁজে খুঁজে নিয়ে হাতে ত্রাণ বিতরণ করছেন যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যেমন ভাবে ভোট চেয়েছেন ঠিক তেমনি ভাবেই তাদের এই দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন এবং নিজ হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন, খোঁজ খবর রাখছেন প্রতিনিয়তই। তার এসব ভিন্নধর্মী কার্যকলাপে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণ তার প্রতি সন্তুষ্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার যাতে সঠিক মানুষের হাতে পৌঁছায় এবং দুর্নীতিবাজ ত্রান ও চাউল চোর যাতে গরীবের হক নষ্ট এবং আত্মসাৎ করতে না পারে তার জন্য তিনি দুর্নীতিবাজদের উপর জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন এবং ত্রাণ বিতরণ চলমান থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

মাশরাফি বিন মর্তুজা: করোনা সংকটের শুরু থেকেই এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইলের জন্য অন্যরকম ভাবে কাজ করছেন। তিনি এলাকায় যেমন ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন, তেমনি মানুষকে সচেতন করা এবং অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার ব্যাপারেও তার উদ্যোগ প্রশংশা পেয়েছে। এমনকি করোনা যুদ্ধে নিজের ১৮ বছরের সঙ্গী হাতের ব্রেসলেট পর্যন্ত নিলামে তুলেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। ৪২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই ব্রেসলেট। করোনা যুদ্ধে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের নিলামে তোলা সরঞ্জামের মধ্যে মাশরাফির ব্রেসলেটই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হলো। ব্রেসলেটের বিক্রয় মূল্য করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন এমপি মাশরাফি।

শেখ তন্ময়: এমপি শেখ তন্ময় করোনা সংকটের সময় একদিকে যেমন ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন, তেমনি চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষদের ঘরে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার এসব উদ্যোগ ব্যাপকভাবে জনগণের কাছে অভিনন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছে।

একরাম চৌধুরী: নোয়াখালীর এমপি একরাম চৌধুরী করোনা সংকটের সময় নিজ উদ্যোগে জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন। দুঃস্থ মানুষের পাশাপাশি নিন্ম আয়ের মানুষকে ত্রাণ দিয়ে তিনি এলাকায় জনবান্ধব এমপি হিসেবে নিজেকে আরেকবার প্রমাণ করেছেন।

নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী): মাদারীপুর থেকে নির্বাচিত এমপি নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) করোনা সংকটে সার্বক্ষণিকভাবে তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সমস্যা ও অভাব অনটন দূর করার জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের দিকে না তাকিয়ে নিজ উদ্যোগে তিনি নিয়মিতভাবে গরীব মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা করে যাচ্ছেন।

শেখ হেলাল: বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল তার এলাকায় করোনা সংকটের পর থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে সেখানে ত্রাণ নিয়ে কোন অভিযোগ নাই। গরীব মানুষের মধ্যে কোন খাদ্য সংকট বা অন্য কোনো অভিযোগ একেবারেই নেই।

শাহরিয়ার আলম: রাজশাহীর এমপি শাহরিয়ার আলম তার নির্বাচনী এলাকায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা করে যাচ্ছেন। মানুষকে নগদ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দুঃস্থ মানুষের মাঝে নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ করে তিনি এলাকায় জনবন্ধু হিসেবে আলোচিত হয়েছেন।

এছাড়াও আরও কয়েকজন এমপি বর্তমান করোনা সংকটের সময় নিজ নিজ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। মানবিক পরিচয় দিয়েছেন নিজেদের সংসদীয় অঞ্চলের মানুষের পাশে দাড়িয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায়, দুঃস্থ মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন। তবে জাতির এই দুঃসময়ে বিত্তশালী এমপিদেরও নিজেদের পাশে দেখতে চায় সাধারন জনগন। চায় তাদের একটু সহযোগিতা।

এই ভয়াবহ দুঃসময় কাটিয়ে উঠুক বাংলাদেশ, এটাই দেশবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: