আব্দুর রউফ রুবেল, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক কিশোরীকে (১২) জোরপূর্বক ধর্ষনের পর ধর্ষণকারী তার বন্ধুর সহযোগীতায় ধর্ষনের ঘটনার ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

গত ১১ মে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (জোহর আলী নগর) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা মঙ্গলবার(২৬ মে) শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রধান আসামী বাপ্পি খানকে (১৪) বুধবার (২৭ মে) বরমী হতে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কিশোর (১৪) এর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী নয়ানগর গ্রামে এবং অপর কিশোর (১৫) এর বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাবুপুর গ্রামে । তারা উভয়েই পরিবারের সাথে কেওয়া পশ্চিম খন্ড হাশেম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

কিশোরীর স্বজনরা জানান,কিশোর কিশোরীরা পাশাপাশি বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে পরিচয় গড়ে উঠে। গত ১১ মে কিশোরের ভাড়া বাড়ী ফাঁকা থাকার সুবাদে কিশোরীকে ফুসলিয়ে ডেকে তাদের ঘরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ১৪ বছর বয়সী কিশোর। পরে ঘরের দরজা আটকে কিশোরীকে অভিযুক্ত ১৪ বছর বয়সী কিশোর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এসময় তার সাথে থাকা ১৫বছর বয়সী কিশোর মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এ ধর্ষণের ঘটনা কারও নিকট প্রকাশ করা হলে কিশোরীকে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র প্রচারের ভয় দেখানো হয়। পরে গত মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে ১৪বছর বয়সী কিশোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্ষণের ওই ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি জানাজানি হলে বাড়ির মালিক পুলিশকে খবর দেন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন জানান, কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বাড়ির মালিক পুলিশে খবর দেয়। পরে ধর্ষনকারী বাপ্পিকে বুধবার দুপুরে উপজেলার বরমী বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, ধর্ষন মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত অপর আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।