1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimmahmudeee@gmail.com : Nasim Mahmud : Nasim Mahmud
  3. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
উত্তর ইতালি বিএনপি শাখা কমিটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান তারেক রহমানের সাক্ষাতকার বড় পর্দায় প্রদর্শন করলেন ছাত্রদল নেতা তারিক ভূল্লীতে হেযবুত তওহীদের গোলটেবিল বৈঠক: গণমাধ্যমের ভূমিকায় তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্ব ইতালি যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ ও সু সংগঠিত করতে ইতালি যুবদল লাস্পেসিয়া শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের জন্য IFAD-এর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ইতালির বিভিন্ন প্রভিন্সে যুবদল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা রামগঞ্জে ফিরছে বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির হোসেন পাটোয়ারী ঝালকাঠি–১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য’র ১০১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সাথে হাবিব খান ইসমাইলের সৌজন্যে সাক্ষাৎ  

তৈরি হচ্ছে মাবিয়ার স্বপ্নের ঘর!

মো: আশরাফুল আলম
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০
  • ৩৯০ জন পড়েছেন

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ইটের গাঁথুনিতে স্বপ্নের ঘোর কেটে যাচ্ছে, বাস্তবতার আলো যোগান দিচ্ছে অফুরন্ত আনন্দের। এই তো প্রায় সপ্তাহ দুয়েক পূর্বেই তার স্বপ্নের যে অতিত ছিল তা বাস্তবে পরিনত হচ্ছে এখন। বলছিলাম প্রায় একযুগ ধরে দোকানে বাস করা বিধবা মাবিয়ার কথা।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের নতুন হাটখোলার দোকান ঘরেই ছিল তার থাকা-খাওয়া। স্বামী হারানোর পর সরকারি জায়গায় ঝুুপড়ি ঘরে চায়ের দোকান দিয়ে পান, বিস্কুট, চানাচুর বিক্রি করেই চলছিলো তার সংগ্রামী জীবন। তিন মেয়েকে বিয়ে করিয়েছেন তারাও এখন স্বামীর ঘরে।

যৌতুকের দাবী মেটাতে না পারায় গত বছর ছোট মেয়ে দশ বছরের এক নাতনীকে নিয়ে এই বিধবা মাবিয়ার নিকট চলে আসে। কয়েকদিন প্রতিবেশির বাড়িতে থাকার পর সেই মেয়ে ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করতে চলে গেছে। সেই থেকে নাতনীকে নিয়েই চলছে মাবিয়ার সংসার।
সরেজমিনে মাবিয়ার ওই স্বপ্নের ঘর তৈরি দেখতে গেলে এই প্রতিবেদকের নিকট এসব বলতে গিয়ে বারবার আচল দিয়ে সামলাচ্ছিলেন চোখের জল।

এসময় তিনি জানান স্বপ্নের ঘর তৈরির ইতিকথা। দুই সপ্তাহ পূর্বে হাট-বাজার উন্নয়ন প্রকল্প এবং দেশব্যাপী চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে মাঠে নামেন উপজেলা প্রশাসন। একদিন তার দোকানে এসে থামে পুলিশের গাড়ি। সাথে আরো একটি গাড়ি। পুলিশ নেমেই তার দোকানের চায়ের কাপ ফেলে দেয়। সরকারি জায়গায় না নিষেধ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় তাকে সতর্ক করেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নিরুপায় মাবিয়া তখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। দোকানটাই যে তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। তা বন্ধ হয়ে গেলে থাকবেন কোথায়, খাবেন কি!
তখন মাবিয়ার কান্না কাটি শুনে আশপাশের লোকজন জড়ো হয় সেখানে। তাদের নিকট থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পাড়েন এই দোকানবাসি বিধবা মাবিয়ার অজানা সব কথা। সবকিছু জানার পর সাথে সাথেই এই কর্মকর্তা মাবিয়াকে আশ্বাস দেন ঘর করে দেবার এবং ব্যবস্থা করে দেন খাবারের।
এক সপ্তাহ পূর্বে এই বিধবা মাবিয়ার পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া দেড়শতক জমির উপর শুরু হয় ঘর নির্মাণের কাজ। নির্মানাধীন এই ঘরের নিকট বসেই তিনি জানান এসব কথা। ইতঃমধ্যেই ঘরের ইটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
মাবিয়া জানান, ‘কখনও ভাবি নাই আমি শেষ বয়সে এসে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবো। ইউএনও স্যার আমাকে নতুন ঘর দিয়েছে। আমি এখন এখানেই বসবাস করতে পারবো।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘সরেজমিনে গিয়ে দোকানবাসি বিধবা মাবিয়ার সব কথা শুনেছি। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রির জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় তাঁর জন্য ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page