1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ন

বেলকুচিতে নতুন ধান ব্রি-৮১ ও ব্রি-৮৯ ধান চাষে লতিফের সাফল্য

সবুজ সরকার স্টাফ রিপোর্টার
  • সময় : রবিবার, ৩১ মে, ২০২০
  • ৩৩৪ জন পড়েছেন

সবুজ সরকারঃ
নতুন জাতের ধান ব্রি-৮১ ব্রি ৮৯ আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার পৌর এলাকার বয়ড়াবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ।

তিনি বেলকুচি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অধীনে ও কৃষি অফিসার কল্যান প্রসাদ পালের সহযোগীতা উৎসাহ উদ্দিপনা এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজের যাবতীয় পরার্মশে ব্রি ৮১ ও ব্রি ৮৯ ধানের বীজ ক্রয় করে চারা তৈরির মাধ্যমে ইরিগেশান করে ব্যাপক ফলন পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। তিনি দুই বিঘা (৬৬ শতাংশ) জমির প্রদর্শনী প্লটে তিনি এ ধানের চাষ করেন। আব্দুল লতিফ শুধু কৃষকই নন, সে সাবেক সরকারি কর্মচারীও। সে ইতি পূর্বে আলু চাষ করে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, এক বিঘা জমিতে ব্রি-৮১ এরং ব্রি ৮৯ ধান আবাদ করে ৩০ মণ ফলন পাওয়া যাবে। বহুল প্রচলিত ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ৫০ জাতের চেয়ে উন্নত। এ ধান আবাদ করতে খরচ কিছুটা কম হয়। তাছাড়া অতিবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় এ ধান হেলে পড়ে না। ফলে প্রতিকূল আবহাওয়াতেও এ ধানের ফলন ভালো হয়। এ জাতের ধান চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে চাহিদা পূরনে সক্ষম হবে। তিনি আরও জানান  ব্রি-৮১ জাতের, ধানটি দেখতে অনেকটা বাঁশমতি বা বাংলামতি ধানের মতো। দানাগুলোও সুন্দর, পরিপুষ্ট ও ঝরঝরে। ধারণা করা যাচ্ছে, অচিরেই এ জাতের ধান কৃষকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

স্থানীয়রা  জানান, নতুন জাতের এ ধান আমাদের এলাকায় পরীক্ষামূলক চাষ হওয়ায় আমরা বেশ খুশি। বয়ড়াবাড়ি  গ্রাম থেকে ধানটি সারা জেলায় ছড়িয়ে পড়বে বলে আমরা আশা করি।

উপজেলা কৃষি কর্মকতা কল্যাণ প্রসাদ পাল এই প্রতিবেদককে জানান, বয়রাবাড়ী গ্রামের লতিফ আমাদের পরামর্শে নতুন জাতের ধান আবাদ করে সাফল্য পেয়েছে শুনে আমি আনন্দিত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসময়ই নতুন নতুন প্রযুক্তি মাঠে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বেলকুচি উপজেলায় এবছর বোরো ধান নতুন জাত ব্রি ধান ৮১, ব্রি ধান ৮৯ এবং ব্রি ধান৯২ জাত সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এসব জাতের ধান স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এবং উচ্চ ফলনশীল। তাই কৃষক রোপন করলে এপ্রিল মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে কেটে ধান ঘরে তুলতে পারে। ফলে কালবৈশাখীর ঝড় বা আগাম বন্যায় কোন ক্ষতি হবে না। আসল কথা হলো বেলকুচিতে এসব জাতে ফলন গড়ে ৭.০ মে: ট: (হে: পতি) পাওয়া গিয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষক আগামী বছর এসব জাত ব্যাপকভাবে আবাদ হবে বলে আশা করছি। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছি এবং বীজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কৃষক চাইলে সহজেই এসব বীজ সংগ্রহ করতে পারবে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: