সবুজ সরকারঃ
সিরাজগঞ্জর বেলকুচিতে সালিসি বৈঠককে কেদ্র করে সংঘর্ষ ঘটেছে। শনিবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের জোকনালা গ্রামে এই সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এঘটনা উপজেলা যুবলীগ নেতা জয়কে গুরুতর আহত অবস্থায় বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক কামাল আহম্মেদকে এনায়তপুরের বেতিল ড্যাফোডিল ক্লিনিক এবং অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতাল ভর্তি করা হয়ছে। সংঘর্ষে প্রায় ৪০ টি মােটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেলকুচি উপজলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জোকনালা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী উম্মে জহুরার বাড়ীর সামনে একটি খাস পুকুর পরিস্কার করা নিয়ে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের দ্বন্ধ হয়। বিষয়টি নিয়ে শনিবার (৬ জুন) ৩ টায় শালিস বৈঠক ডাকা হয় জোকনালা বাজারে। ঘন্টা খানেক আগেই রফিকুল ইসলামের পক্ষে উপজলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার নেতৃত্বে শ-খানেক লোকজন হাজির হয়। সালিশ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় তারা প্রায় অর্ধশত মাটরসাইকেল নিয়ে ফিরে সগুনা চৌরাস্তা মােড় পৌছলে তখন বিপরীত দিক থেকে শিক্ষিকা উম্মে জহুরার পক্ষ নিকট আত্বীয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নেতৃত্বে শতাধিক মােটর সাইকেল তিনটি ট্রাক ভর্তি লােক নিয়ে মুখোমুখি হয়। তখন উভয়পক্ষের লােকজনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষ বাঁধে।
এসময় সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসের পক্ষের উপজলা স্বেছাসবকলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল আহম্মেদসহ কয়েকজন আহত হন। অপরদিকে রেজা গ্রুপের যুবলীগের জয়, নাজমুল, মেহেদী, রিপন, লিটন, কামরুল সহ কয়েক জন গুরুতর আহত হয়। উভয় মিলে অন্তত ১০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে রেজার পক্ষের প্রায় ৪০টি মটরসাইকেল ও ১টি হাইস গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের মধ্যে রেজা গ্রুপের যুবলীগের নেতা জয়ের অবস্থা আশঙ্কা জনক। স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কামাল আহম্মেদকে স্থানীয় ড্যাফডিল হাসপাতালে থেকে সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুনেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর দিকে রেজা গ্রুপের গুরুতর আহতদের বেলকুচি উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুনেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ওসি আনােয়ারুল ইসলাম জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এখনো আমরা কােন অভিযােগ পাইনি। অভিযােগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply