1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ যুবক

ভঙ্গুর ব্যাংক খাত দিয়ে বাজেট ঘাটতি পূরণ বিপর্যয় আনতে পারে

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০
  • ৩৩২ জন পড়েছেন

আবু সাঈদ সজল, রাবিঃ সদ্য ঘোষিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতসহ বৈদশিক ঋণের উপর নির্ভর করতে হবে দেশের অর্থনীতিকে।

করোনার এই সংকট মুহুর্তে বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থাও শোচনীয়। কমেছে বৈদশিক আয়। এছাড়া দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট। তাই বৈদশিক খাত ও ব্যাংক খাতের উপর এত বড় নির্ভরতা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

তারা বলছেন, সত্যিকার অর্থে চমকপ্রদ কিছু নেই এই বাজেটে। একই সাথে স্বাস্থ্য সংকটের এই মুহুর্তেও গুরুত্বপূর্ণ পায়নি স্বাস্থ্য খাত। তদুপরি বেড়েছে ঋণের বোঝা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, বড় উদ্বেগের বিষয় যেটি মনে হয়েছে, এ বাজেটের ঘাটতি অনেক বেশি। যেটা জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশ। এই ঘাটতি ব্যয় পূরণ করবে যেটা তার মধ্যে বড় একটা অংশ ব্যাংকিং খাত থেকে আসবে। যেখানে ব্যাংকগুলো নিজেরাই তারল্য সংকটে ভুগছে, আর্থিক খাত দূর্বল একটা কাঠামোর মধ্যে পড়ে আছে তখন ব্যাংকিং খাতের উপর এত বড় চাপ অনেক বড় উদ্বেগের।

তিনি বলেন, ঘাটতি বাজেট পূরণের জন্য সরকার ঋণ নিবে সেটিও সেটি ব্যাংক থেকেই নিতে হবে । আবার যে প্রণোদনা গুলো যাবে তার অধিকাংশই যাবে ব্যাংক খাত থেকে। ব্যাংক থেকে যত বেশি সরকার টাকা নিবে তত বেশি প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ আরও কমে যাবে। এর আগেও দীর্ঘদিন থেকে বিনিয়োগহীন পড়ে আছে প্রাইভেট সেক্টর।

এদিকে এবার বাজেটে ঘাটতির ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশী ঋণ থেকে পূরণ হবে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা সংকট বিশ্বব্যাপি। এই সংকটের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির যে অবস্থা তাতে এত বড় একটা অংশ ঋণ পাওয়া সম্ভবপর হওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। এত সহজ হবে না ব্যাপারটা। কেউ ঋণ দিবে এটিও সহজে ভরসা রাখা যাচ্ছে না। এক ধরনের অনিশ্চয়তা আছে বলছেন গবেষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, অর্থনীতির পরিসরের তুলনায় এই বাজেট, ঋণের বোঝা অনেক বড় ধরণের বিপর্যয় তৈরি করবে। তার কারণ হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যায়ের খাত হলো ঋণের সুদ। দেশের অর্থনীতি ভালো ছিলো তখন দেশের জিডিপির গ্রোথও ভালো ছিলো।

এর মধ্যে করোনার প্রভাবে বৈদশিক আয় কমে গেছে। করোনা পরবর্তী বিদেশে শ্রমিক কেমন ছাটাই হবে বলা যাচ্ছে না। বৈদশিক রপ্তানি আয় কমে যাচ্ছে। রেমিটান্স কমে যাচ্ছে। এছাড়া করোনার কারণে জিডিপির দেড় থেকে দুই শতাংশ গ্রোথে সাধারণ কর্পোরেট ট্যাক্স ইনকাম কমে যাবে। কর্পোরেট ট্যাক্স ইনকাম কমে গেলে, অন্যান্য রাজস্ব আয় কমে গেলে তখন লোনের বোঝা আরও বাড়িয়ে বাজেটের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

এর ফলে করোনার প্রভাব ও ঘাটতি বাজেটে ঋণের বোঝা যেটা তা সামনে আরও বড় বোঝা তৈরি করবে। এতে স্বল্প হোক দীর্ঘমেয়াদী হোক দেশের যে লক্ষ্য তা কোনো অংশেই পূরণ করা সম্ভব হবে না।

অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, এর প্রভাবে মানুষ চাকুরী হারাবে। আয় কমে যাবে, সঞ্চয় কমে যাবে। মাথাপিছু ঋণ বেড়ে যাবে। ধনীদের হাতে যে অর্থ পুঞ্জিভূত হচেছ সেটির পরিমাণ বেড়ে যাবে। গরীবরা আরও গরীব হবে। অর্থাৎ আয় বৈষম্য বাড়বে। অন্যদিকে সরকারি ব্যয় কমাচ্ছে না। সরকারি ব্যয় কমাতে হবে। সেদিকে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের হিসাবটা কোনদিকে যাবে সেটি চিন্তা না করেই বাজেট যা একটি অশনী সংকেত আমাদের দেশের জন্য।

এদিকে কিছু খাতে বরাদ্দ বাড়লেও কিভাবে অর্থ ব্যয় হবে সেটির পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করেন অর্থনীতি বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ হোসেন।

তিনি বলেন, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি হলেও গতানুগতিক একটা কাঠামোতে বাজেট হয়েছে যেটি পরিকল্পিত নয়। করোনার মধ্যে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বিশেষ এই বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা এই চারটি জায়গায় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও কাঠামোগত পরিবর্তন চাওয়া ছিলো। চারটি খাতেই বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

কৃষিখাতে ৯ হাজার কোটি টাকা ভূর্তুকী রাখা হয়েছে তবে ৬৩ লাখ বর্গাচাষী ও ২৩ লাখ ভূমিহীন চাষী কিভাবে এই ভূর্তুকী বা ঋণ সহায়তা পাবে তার কোনো কাঠামোগত নির্দেশনা এখানে নেই। শুধু মাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, যেটি কৃষকরা ঋণ হিসেবে পাবে। এক্ষেত্রে প্রান্তিক চাষিরা লাভবান হবে না। এছাড়া যাদের কোনো জমি নেই, বা ফুল চাষ করে তারা কিভাবে ঋণ পাবে তাও এখানে উল্লেখ নেই।

অধ্যাপক ইলিয়াছ বলেন, এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। কিন্তু ১২ লাখ সুবিধাভোগী হবে জানিয়েছে সরকার। এটি জিডিপির ৩ শতাংশ। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে ৫১ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হয়েছে। কিন্তু এইখাত থেকে তারা কোনো সাহায্য পাবে না। আমরা অর্থনীতিবিদরা বলেছিলাম নতুন করে দরিদ্র হওয়া এই গোষ্ঠী নগদ অর্থ সহায়তার জন্য একটা বরাদ্দ দিতে। কিন্তু সেটি এই বাজেটে দেখতে পাই নি।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ১ লক্ষ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে জিডিপি বাড়ানোর জন্য প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরী। প্রাইভেট খাতে বিনিয়োগ না বাড়লে যে জিডিপি বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে তার সাথে অনেকটা সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে বলেও জানাচ্ছেন তারা।

এদিকে সংকটময় মুহুর্তে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ নিয়ে গবেষকরা বলছেন, এই সংকটময় মুহুর্তে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার ছিলো।

তবে গতবার ৩০ হাজার কোটি টাকা হলেও এবার ৪১ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। বেড়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা।

যেটি অনেকটা হতাশারও জানিয়ে অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, এই সংকটে বেঁচে থাকাটা চ্যালেঞ্জ। সেখানে গতবারের তুলনায় বেশি বরাদ্দ হওয়ার দরকার ছিলো। তবে বেশি আশাবাদি হওয়া যাচ্ছে না স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ নিয়ে। পূর্বের তুলনায় মোট বাজেটে স্বাস্থ্যখাত গুরুত্ব পায়নি।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: