1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধানের সম্প্রসারণে নীতি নির্ধারণ ও প্রকল্প অংশীদারগণের মতামত সভা ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক গম ও জিংক ধান শীর্ষক স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত শান্তিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঠাকুরগাঁওয়ের বসভাঙ্গা বসন্তপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত  মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ফাউন্ডেশন মানুষের পাশে ঠাকুরগাঁওয়ে সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে ক্যাসিনো ডিলার মাদকসহ ৬ জনকে আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৯ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার অর্থ-বাণিজ্য রূপালী ইন্স্যুরেন্সে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল,ক্লিনিক ও ফার্মেসিতে লিফলেট বিতরণ

প্রবাসে থাকা বাবার অপেক্ষায়!

রাব্বি হাসান
  • সময় : রবিবার, ২১ জুন, ২০২০
  • ৫১৮ জন পড়েছেন

রাগী চেহারা, গম্ভীর মুখ, শক্ত চোয়াল, সংসারের ভাগ্যের চাকার ঘানি টানা মানুষটার নাম বাবা। পরম স্নেহ, মায়া মমতা, শাসন, নির্ভরতার পরম আশ্রয় বাবা। প্রতিবছর জুনের ৩য় রবিবার এলেই পুরো পৃথিবী জুড়ে জানান দেয় একক পরিশ্রমী, চাপা কষ্টের আড়ালে হেসে যাওয়া, নিজের স্বপ্ন হত্যা করে পরিবারের স্বপ্নকে আগলে রাখার এক শ্রেষ্ট মানুষ” বাবার” কথা।

ছেলেবেলা থেকেই বাবাকে তেমন করে কাছে পাওয়া হয়নি। ভাগ্যের চাকাকে উজ্জ্বল করতেই বাবা পাড়ি জমায় প্রবাসে। হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও বাবার ভালোবাসার এক বিন্দু পরিমাণ ও কমতি লক্ষ্য করিনি। শৈশবে পৃথিবীতে দেশ হিসেবে দু’টো জানতাম একটা আমার বাংলাদেশ একটা বাবা যেখানে পাড়ি জমিয়েছে “বিদেশ”। এখন বড় হয়ে পৃথিবীতে দেখি অনেক দেশ কিন্তু বাবার সেই বিদেশ নামক শব্দটির অনুভূতি এখনো হৃদয়ে জানান দেয়।

সময়টা ২০০৬, আমাদের এলাকায় তখন মোবাইল ফোন তেমন একটা আসেনি, বাবার সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র মাধ্যমে ছিল ডাক যোগে চিঠি। আমরা তিন ভাই বোন চিঠি কিভাবে লিখতে হয় জানতাম না। লিখতেন মা। আমাদের নামেই বেশি লিখতেন। পরম যত্নে ভালোবাসার সাদা খামে ভরে দিতেন মার হাতের লিখা চিঠি।

প্রিয়তম,
কেমন আছো? আমরা বাসার সবাই ভালো আছি। নিজের যত্ন নিও। সাবধানে কাজ করো। তোমার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
ইতি তোমার আদরের পরিবার।

ডাক হরকরার কাছে চিঠি দিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হতো মাসের পর মাস৷ বাবার চিঠি কবে আসবে সেই অপেক্ষা করতাম। অপেক্ষার পালা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হতো। মাস পেরিয়ে যেত আমাদের অপেক্ষা যেন মৃত্যুর সমান যন্ত্রণা নিয়ে আসতো। বাবা চিঠি পেয়ে উত্তর দিতেন মাস দুই পর। কতটা আগ্রহ আর ভালোবাসা নিয়ে আমরা হারিকেনের কিংবা কুপীর আলোয় চিঠি পড়তাম। দেখতাম দরজা বন্ধ করে মাঝে মাঝেই মা বাবার চিঠি বুকে নিয়ে কান্না করতো।

ঠিক ঐ শৈশবে, আকাশে এরোপ্লেন দেখলেই দৌড়ে গিয়ে মাকে বলতাম উড়োজাহাজ দিয়ে বাবা আসতেছে। মা ও তখন খুশি করার জন্য বলতো হ্যাঁ তোর বাবা আসতেছে। সেই শুরু শৈশবের বন্ধু দের সাথে প্রায় এরোপ্লেন দেখলে বলতাম আমার বাবা আসতেছে বিদেশ থেকে। শৈশবের স্মৃতি গুলো পুরোটা ছিল বাবাময়।

কিন্তু আজ আধুনিকতার যুগে, বিজ্ঞানের যুগে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও নিমিষেই বাবার সাথে যোগাযোগ করা যায়, ভালোবাসা, আগ্রহ, আর উদ্দীপনা যেন দিনদিন কমতি করছি। এখন আর মা হারিকেনের আলোয় চিঠি লিখে না, চিঠির অপেক্ষায় আমরাও কাতর হই না, মা ও কান্না করে না, উড়োজাহাজ দেখলে বন্ধু দের বলি না বাবা বিদেশ থেকে আসতেছে। তবে ভালোবাসা টের পাওয়া যায়।

এই মহামারী করোনায় ও বাবা প্রবাসে থেকে দিনরাত আমাদের চিন্তায় ব্যতি ব্যস্থ। তাই তো,
দিন শেষে বলা যায়,
দিন শেষে জানানো যায়
তুমি দূরে অন্য ভূমিতে
ভালোবাসি প্রতি মুহুর্তে
“বাবা”

লেখকঃ শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page