1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক সাইনবোর্ড দিলো স্কাউটস ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় ও এম এ এফ-এর আয়োজনে ইফতার মাহফিল  সোনালী ব্যাংক পিএলসি জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে ইসলামিক অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ের আউলিয়াপুরে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ সম্পন্ন ঠাকুরগাঁওয়ে শুখান পুখুরী ইউপি ২৩০০ পরিবারের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ  বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় কোরআন ও নগদ অর্থ বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে আলু বোঝাই ট্রাক ও পাগলুর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ঐতিহাসিক বদর দিবসে আল মুফিদ ফাউন্ডেশনের ইফতার বিতরণ আগামী ৫ এপিল অনুষ্ঠিত হবে মালিক সমিতির নির্বাচন

বর্ষায় কদর বেড়েছে ছাতা কারিগরদের

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০
  • ৩০৭ জন পড়েছেন

মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
এখন বর্ষাকাল বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বর্ষার সময় ছাতার ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই এসময়ে ছাতা কারিগরদের কর্মব্যস্ততাও বাড়ে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর ছাতার কারিগররাও এর ব্যতিক্রম নয়। বৃষ্টি হলেই বেড়ে যায় ছাতার কদর,তাই ক্রুটিযুক্ত ছাতা মেরামত করতে ভাসমান কারিগরদের কাছে ভিড় জমায় লোকজন।
এদিকে বর্ষার কারণে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসেছে ভ্রাম্যমান ছাতা কারিগর,ত্রুটিযুক্ত ছাতা মেরামত করতে ওই কারিগরদের কাছে ভিড় করছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তাই বর্তমানে মৌসুমি ছাতা কারিগরদের কদর বেড়েছে। বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় অন্য ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করলেও ব্যস্ত সময় পার করছে ছাতা কারিগররা।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,অন্য সময়ের তুলনায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মত। তারা নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। কারিগররা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাক্স নিয়ে রাস্তার পাশে কেউ অন্যের বারান্দায় বসে ছাতা মেরামতের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে দিনভর হরেকরকমের ভাঙ্গা ছাতা মেরামত করছে কারিগররা। আর কাজ বুঝে প্রতিটি ছাতা মেরামতের টাকা নিচ্ছে তারা। বৃষ্টির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে কাজের চাপও বেড়ে যায় তাদের। আর বৃষ্টির হাত থেকে স্বস্তি পেতে বর্ষার অক্রিতিম বন্ধু ছাতাকে মেরামত করতে যেন ভুলছেনা কেউ।
ছাতা কারিগর রাজারামপুর ঘাট পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান,তার বাবা ছহির উদ্দিনের আগে এ পেশায় ছিলেন তার হাত ধরে তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। বছরের ছয় মাস তিনি এ পেশায় থাকেন আর বাকি মাসগুলো অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি দৈনিক ১০ থেকে ১৫টি ছাতা মেরামত করে থাকেন। দৈনিক ৪শ থেকে ৫শ টাকা আয় করেন তিনি। এবার করোনার কারণে কাজ একটু কম বলে জানান শহিদুল।
আরেক ছাতা কারিগর ফারুক হোসেন বলেন,আমি এ পেশায় ২০-২৫ বছর ধরে আছি। বছরের এ সময়ে আয় বেশি হতো। কিন্তু এখন করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাই এবার রোজগার কিছুটা কম হচ্ছে। বছরে ছয় মাস আমি এ পেশায় থাকি বাকি ছয় মাস ত্রুটিযুক্ত তালা ভালো করে সংসার চালাই।
কথা হয় ছাতা মেরামত করতে আসা বকুলের সাথে তিনি বলেন তার একটি ছাতা বাড়ীতে পড়ে ছিলো তাই মেরামত করতে এসেছেন নতুন ছাতা কেনার চেয়ে অল্প টাকায় পুরোনোটাই মেরামত করা ভালো এতে কিছুটা সাশ্রয় হবে।
ছাতা মেরামত করতে আসা কাঁটাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল বলেন,একটি ভালো ছাতা ক্রয় করতে ২৫০-৫০০ টাকা প্রয়োজন। এর চেয়ে পুরোনো ছাতাটি মেরামত করে নিলেই চলে। এখনকার যে ছাতা, সবে মাত্র ১ মাস হল ছাতাটা কিনেছি,এখনই মেরামত করতে আসা লাগল।
পৌর শহরের ননিগোপাল মোড়ের ছাতা কারিগর ইউসুফ এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন,বছরের অন্যান মৌসুমে তেমন কোন কাজ থাকেনা। শুধু মাত্র বর্ষার অপেক্ষায় থাকি। বর্ষা এলেই বাড়ি থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি ছাতা মেরামতের জন্য। আর বর্ষা এলেই আমাদের আয়ও বহুগুণে বেড়ে যায়।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page