1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁয়ের ভূল্লীর বাঁধ এখন ‘মিনি কক্সবাজার’

মোঃ সুজন আলী
  • সময় : মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০
  • ১৩২৯ জন পড়েছেন

মোঃ সুজন আলী, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের একটি বাঁধ। যেটি ১৯৯৬সালে কৃষি সেচ ব্যবস্থার জন্য নির্মান করা হয়। বর্তমানে ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে এটি এখন ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে বেশি পরিচিত। ঠাকুরগাঁও শহরের কাছাকাছি নতুন এ পর্যটনস্থানটি এরই মধ্যে ভ্রমণপিয়াসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উত্তরাঞ্চলে কোনো সমুদ্র নেই, তাই এ অঞ্চলের মানুষের কাছে সমুদ্রসৈকত এক স্বপ্ন। তবে ঠাকুরগাঁওয়ের এ বাঁধটি এখন সমুদ্রের অভাব অনেকটাই পূরণ করছে এই এলাকার ভ্রমণপিয়াসী মানুষদের। এ বাঁধের জলরাশি আর ঢেউ যে কারো মন নিমেষেই ভালো করে দেয়ার মত।

দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায় বলে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও শিার্থী নিয়ে অনেক শিাপ্রতিষ্ঠানই এখানে পিকনিক করতে আসছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কেউ বাঁধের পানিতে লাফাচ্ছে, কেউ আবার বাঁধের অপরূপ সৌন্দর্যকে উপভোগ করছে। বাঁধটিতে কক্সবাজারে আদলে সবাই আনন্দ ফুর্তিতে মেতে উঠেছে। ভাবলাম, কোলাহলপূর্ণ শহরে যখন দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা, ঠিক তখন শহুরে জীবন ছেড়ে মানুষ ছুটতে চায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের খোঁজে। এ ছাড়া কক্সবাজারসহ দেশের ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনগুলোতে ঠাকুরগাঁও থেকে যাওয়াটা অনেক সময় সাপে ব্যাপার। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বাঁধের সৌন্দর্য মন কাড়ে সেখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের। অনেকে এ বাঁধকে আখ্যায়িত করেন মিনি কক্সবাজার হিসেবে। জলরাশির ছোট ছোট ঢেউ বাঁধের সৌন্দর্য উপভোগে অনেকেই আসেন স্থানটিতে। এখানে বর্ষা মৌসুমে অনেক লোকই ঘুরতে আসেন। অনেকটা মিনি কক্সবাজারের মতোই বলতে পারেন। ছোট ছোট ঢেউ আছড়ে পড়ে বাঁধের শেষ প্রান্তে। ছুটির দিনে এমন একটি স্থানে বেড়িয়ে না আসাটা দুঃখজনকই বটে। ছন্দের ভাষায়, দেখি তারে মন ভরে নাই আবার যাব ছাড়ি, ইচ্ছে হলেই সেখানটাতে করব বসতবাড়ি।

আর এ সময়টিতে এ বাঁধে সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় হয়। আগতরা সেলফি বা ক্যামেরায় ছবি তুলে সেই সুন্দর সময়টি ক্যামেরা বন্দী করে রাখেন। এ ছাড়া প্রাইভেট কারে সুজন-শারমিন দম্পতি ও তাদের এক মেয়ে বাঁধে বেড়াতে আসেন। এ দম্পতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা পঞ্চগড় থেকে এসেছেন। তারা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে এ স্থানটি সম্পর্কে জানতে পারেন। এখানে বেড়িয়ে পরিবারটি বেশ উচ্ছ্াস প্রকাশ করে। আগত পর্যটকদের জন্য এরই মধ্যে বাঁধের পাশ্বে এলাকায় ছোট খাবারের দোকান গড়ে উঠেছে।

সব মিলিয়ে এমন একটি বিনোদন কেন্দ্রকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের দাবী। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন লেখনির মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এ দাবী জানিয়েছেন।

কিভাবে যাওয়া যায়: ঠাকুরগাঁও থেকে ১৩ কিলিমিটার উত্তরে খোশ বাজার মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে পশ্চিমে ১ কিলোমিটারে মধ্যে বাঁধের অবস্থান।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: