(কয়রা প্রতিনিধি)
খুলনার কয়রা উপজেলার বেসপাড়া হায়াতুন্নেছা দাখিল মাদরাসায় নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষা ‘পাতানো’ বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই দুই পদে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নিকটাত্মীয়কে
নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যে কারনে অসচ্ছতার অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবী জানিয়েছেন অংশগ্রহনকারি প্রার্থীরা।
যে দুইজন নিয়োগ পেয়েছেন তারা হলেন, মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মারজন ঢালীর পুত্রবধূ রহিমা খাতুন ও নাতি
মাহফুজুর রহমান। নিয়োগ পরীক্ষায় আয়া পদে অংশ নিয়েছিলেন ফাতেমা খাতুন। তিনি
অভিযোগ করেন, মাদরাসা থেকে প্রায় একশ কিলোমিটার দুরে খুলনা শহরের একটি স্কুলে নিয়ে তাদেরকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধ্য করা হয়। করোনাকালিন সময়ে অনেকেই এত দুরে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু মাদরাসার সুপার ও সভাপতির
চাপাচাপিতে এক দিন আগে সেখানে যেতে হয়েছে। পরীক্ষার আগেই তারা জানতে পারেন সভাপতির পুত্রবধূ ও নাতিকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সে কারনে শুরু থেকেই তারা এমন পাতানো পরীক্ষা বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।
ইসমাইল হোসেন নামে এক নিয়োগ পরীক্ষার্থির অভিভাবক বলেন, এলাকায় ঝামেলা হতে পারে ভেবে খুলনা শহরে নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা
নেওয়া হয়েছে। দুই পদে ১৫ জন প্রার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগে সকল প্রার্থীর কাছ থেকে একটি রেজিষ্টার খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে তাদেরকে মৌখিকভাবে কয়েকটি প্রশ্ন করে চলে যেতে বলা হয়। পরে
জানতে পারি দুটি পদেই সভাপতি আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে আমরা নিয়োগবোর্ডের সদস্য ডিজির প্রতিনিধির
কাছে পরীক্ষা বাতিলের জন্য অভিযোগ জানিয়েছি। মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মারজন ঢালী বলেন, নিয়োগ
বোর্ডে আমিসহ আরও চার জন সদস্য ছিল। সকলের মতামতের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আত্মীয় অনাত্মীয়ের বিষয় আসছে কেন জানতে চান তিনি।
মাদরাসার সুপার আব্দুল খালেক বলেন, স্বচ্ছতার জন্য এবং ডিজির প্রতিনিধির নির্দেশনা অনুযায়ি খুলনা শহরে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া
হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তরা সভপতির আত্মীয় কিনা জানি না। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমীন বলেন, মাদরাসার সুপার
ও সভাপাতি ঢাকায় গিয়ে ডিজির প্রতিনিধির সাথে আলোচনা করে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেছেন। এখানে আমার কোন দায় নেই। তবে নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছ হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
Leave a Reply