শুরুটা তিন বছর আগে। নিজের বাড়ি থেকে। নিতান্তই শখের বসে গরুর খামার করার ইচ্ছা জাগে ঈসমাইলের। নিজের স্বল্প পুঁজি ও বন্ধুর সহযোগিতা নিয়ে শুরু করেন গবাদি পশু লালন পালনের কাজ। ১০টি গরু নিয়ে স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু। এক বছর যাওয়ার পর বাড়তে থাকে খামারের গরুর সংখ্যা। বাড়িতে জায়গা কম থকায় অন্যত্র সরিয়ে নেন খামার। নেয়া হয় বড় একটি জায়গা। নিজের নামে খামারের নাম দেয়া হয় ঈসমাইল এগ্রো।
শুধু গবাদি পশু নয় ঈসমাইল এখন নতুন করে পালন করছে হাঁস, মুরগি ও কবুতর। গত তিন বছর গরু পালন করে সফল হয়েছেন। পেয়েছেন লাভ। পরিকল্পনা করছেন খামার বড় করার। কিন্তু চলতি বছর করোনার করণে গরু বাজারজাতকরণ নিয়ে চিন্তিত। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বিক্রির উপযোগী ১০টি গরু ছিল। বিক্রি করা হয়েছে ১টি। এখনও ৯টি গরু বিক্রি করা বাকী আছে। দেশী গরুর পাশাপাশি পালন করছেন অট্রেলিয়ান, ফ্রিজিয়ান, সিন্ধি জাতের গরু। ক্রেতার চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশী গরুর উপর গরুত্ব দিচ্ছেন বেশি। গরু সংগ্রহ করা হয় পাবনা, নেত্রোকোনাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের বাড়ি বাড়ি থেকে। গরুকে একেবারে প্রকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয় বলে ঈসমাইল জানান। তার মধ্যে রয়েছে, ভূট্টা, ভূসি, কুড়া ও কাঁচা ঘাস।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদরের কাপাসিয়া সেন্ট্রাল কজেল সংলগ্ন ঈসমাইল এগ্রো। নিয়মিত কাজ করছেন ২ জন শ্রমিক। বাড়তি কাজের জন্য আরো আছেন ১৮-২০ জন শ্রমিক। কেউ গরুর যতœ নিচ্ছে আবার কেউ গরুর মলমূত্র পরিষ্কার করছে শ্রমিকদের কাজের তদারাকি করছেন ঈসমাইল নিজেই। তিনটি সারিতে রয়েছে ২৫টি গবাদি পশু। গরু ছাড়াও ৪০টি মুরগি, ৩০টি হাঁস ও ১০টি কবুতর রয়েছে।
খামারি ঈসমাইল বলেন, আমার খামার অনেকটা নতুন। প্রথম দুই বছর ভাল লাভ হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছু। কিন্তু চলতি বছর করোনায় গরু বিক্রি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। আমার খামারে পালিত গরুর একটা সুনাম রয়েছে। ওজন সব সময়ই ঠিক থাকে। গরু মোটাতাজাকরণে ভেজাল কোন খাবার আমি দেই না।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি শখের বসে গরুর খামার করি। সব সময় সহযোগিতা করেছেন আমার বন্ধু এস.এম সাখাওয়াত। গরুর খাবার ও গরু ক্রয়ে অর্থ দিয়ে পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যোগিয়েছেন।
এস এম সাখাওয়াত বলেন, বন্ধু ঈসমাইলকে শুরু থেকেই বুদ্ধি, পরামর্শ ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি। সে একজন পরিশ্রমী ও সফল উদ্যোক্তা।
Leave a Reply