সোহেল রানা,যশোর প্রতিনিধিঃপবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে যশোরে ব্যস্ততা বাড়েনি কামারপাড়া গুলোতে। হাতুড়ি পেটানো টুংটাং শব্দে এখন আর মুখর নেই কামাড়পাড়ায়।লোহা পুড়িয়ে লাল করে পিটিয়ে দিনরাত ধারালো দা,বটি, ছুরি,চাপাতি তৈরিতে কোন ব্যস্ততা নেই কারিগরদের।
এদিকে,ঈদের সময় ঘনিয়ে এলেও মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে তেমন বেচাকেনা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যসায়ীরা।তবে পুরানো অস্ত্রগুলোতে চলছে শান দেওয়ার কাজ।কামারীরা বলেন,বটি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আকৃতি ও লোহা ভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে দা, ছুরি প্রতিটি ৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
হাড় কোপানোর চাপাতি (স্প্রিংয়ের) কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, আর সাধারণ লোহার চাপাতি কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়াও গরু জবাইয়ের ছুরি প্রতিটি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং ধার দেওয়ার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।পুরনো যন্ত্রপাতি শান দিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
কামারপাড়ার কারিগর কামাল হোসেন বলেন, ৪০বছর ধরে এই পেশায় আছি। প্রতি বছরই এসময়টায় অনেক ব্যস্ত থাকি।দিন যত গড়াবে ব্যস্ততা বাড়বে।এসময় প্রতিদিন খুব সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি।চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।ঈদের আগের দিনে অনেক অর্ডার ফেরত দিতে হয়। কোরবানির ঈদের আগের এক সপ্তাহ দোকান ভেদে ভাল আয় হয়।ঈদের আগের রাত পর্যন্ত কাজ করে ঈদের দিন সকালে গ্রামের বাড়ি যায়।কিন্তু এখন করোনা সব থামিয়ে দিয়েছে।
এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ,ঈদ মৌসুমে ক্রেতা সমাগম আগের মত বেশি না হওয়ায় কামাররা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন।অন্য সময়ের তুলনায় প্রত্যেকটা সরঞ্জামের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি নিচ্ছেন।বাজারে আসা ক্রেতা লোকমান হোসেন বলেন,এখন প্রত্যেকটা ছুরি এবং বটির দাম বেশি নিচ্ছে। ঈদ আসলেই তারা এমনটা করে।
দাম বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে একজন কামার বলেন,আমরা টিনমেপে কয়লা কিনি। গত বছর কয়লার টিন ৪০/৪৫ টাকা হলেও এবার ৫০/৬০ টাকা। এছাড়া গত বছরের তুলনায় এ বছর স্প্রিংয়ের দামও বেশি।করোনার কারনে এবার কুরবানি কম হবে মনে হচ্ছে।এ কারনে আমাদের কাজ, ব্যবসা বাণিজ্য সব কিছুতে ভাটা পড়েছে।
You cannot copy content of this page