1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধানের সম্প্রসারণে নীতি নির্ধারণ ও প্রকল্প অংশীদারগণের মতামত সভা ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক গম ও জিংক ধান শীর্ষক স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত শান্তিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঠাকুরগাঁওয়ের বসভাঙ্গা বসন্তপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত  মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ফাউন্ডেশন মানুষের পাশে ঠাকুরগাঁওয়ে সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে ক্যাসিনো ডিলার মাদকসহ ৬ জনকে আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৯ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার অর্থ-বাণিজ্য রূপালী ইন্স্যুরেন্সে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল,ক্লিনিক ও ফার্মেসিতে লিফলেট বিতরণ

মাওনা চৌরাস্তায় ফ্রিজে রাখা ও অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রির অভিযোগ

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০
  • ২৪১ জন পড়েছেন

গাজীপুর প্রতিনিধিঃলোকচক্ষুর অন্তরালে জবাই করা রুগ্ন-অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় প্রতিদিন কয়েকটি পশু জবাই করে গোস্ত বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন বাজার থেকে ভ্রাম্যমান সাধারণ ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাংস কিনে প্রতারিত হচ্ছেন এসব ক্রেতারা।
অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে কতিপয় মাংস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে খাওয়ার অনুপোযোগী অসুস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি চলছে প্রতিদিন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে যাচ্ছে এসব কার্যক্রম।

অনুসন্ধানে জানা যায় এসব মাংস বিক্রির জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাড়িতে প্রায়ই জনের ফ্রিজও রয়েছে। স্থানীয় সরকারের ইউনিটগুলোর নিরব ভূমিকার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উপজেলা ও পৌরসভার অসাধু মাংস ব্যবসায়ী (কসাই)।

উপজেলার টেপিরবাড়ী এলাকার ইসলাম উদ্দিনের একটি ষাঁড় গরু অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় কয়েক দিন যাবত চিকিৎসা করানোর পরও সুস্থ না হওয়ায় গত রবিবার (১৯ জুলাই) রতনের (কসাই) কাছে বিক্রি করে দেয় ৫৫হাজার টাকায়। তিনি জানান, প্রায় লাখ টাকা মূল্যের গরু কিন্তু অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে গরুটি বিক্রি করে দিয়েছি। পরে ওই কসাই রাতেই গরু জবাই করে সকালে বিক্রি করে দিয়েছে মাওনা চৌরাস্তায়।

মাংস ব্যবসায়ী রতন কসাই পশু অসুস্থ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, কয়েকদিন যাবত পাতলা পায়খানা হচ্ছিল, অসুস্থ তবে মরা গরু নয়। এছাড়া তিনি জানান, কোন ধরনের নিয়ম নীতি লাগেনা মাংস বিক্রি করতে। ৩০ বছর যাবৎ তিনি এ ব্যবসা করছেন, কোনদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়নি। শ্রীপুর মাওনা কিংবা ভালুকায় কোন ডাক্তার নেই। কোথাও কোনো পরীক্ষা করে না বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে নুরুল ইসলাম নামের এক মাংস বিক্রেতার দোকানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ফ্রিজে রাখা গোশত বিক্রি করছেন। এ ব্যাপারে তার দোকানে থাকা কর্মচারীরা জানান, মাংস গুলো হোটেলের জন্য। এগুলো এখানে বিক্রি করা হবে না। নুরুল ইসলাম না থাকায় মুঠোফোনে নুরুল ইসলামকে ধরিয়ে দেওয়া হয় সাংবাদিকের কাছে, পরবর্তীতে নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি আশরাফ এর কাছ থেকে গোশত কিনে বিক্রি করি। তবে আগামী দিন থেকে নিয়ম-নীতি মেনে বিক্রি করবো। পরবর্তীতে হাসেম নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে সাংবাদিকদের নিউজ না করার অনুরোধ জানান, এবং জোর পূর্বক সাংবাদিকদের পকেটে মোটরসাইকেলের তেল খরচ বাবদ ১০০০টাকা গুজে দেন।

এদিকে, মাংস বিক্রয় ও পশু জবেহ করার নির্দিষ্ট বিধিমালা থাকলেও এর সামান্যতম প্রয়াগ নেই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায়। তাই পশুর পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই জবেহ করা হচ্ছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস উচ্চমূল্যে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এক শ্রেণীর মানুষ। একই অবস্থা ছাগলের ক্ষেত্রেও। ডাক্তারি পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই হাট-বাজারে পশু জবাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় আব্দুর রশিদ নামের একজন জানান, উপজেলাসহ পৌর এলাকার প্রায় সব হাট-বাজারে বহু গরু-মহিষ ও ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এর ফাঁকে ফাঁকে অসুস্থ-রুগ্ন, এমনকি মৃতপ্রায় অবস্থায় জবাই করা পশুর মাংস ফ্রিজে রেখে বিক্রি করেন তারা।

জামাল নামের এক ক্রেতা বলেন, জবাইয়ের আগে পশু অসুস্থ্ নাকি সুস্থ ছিল, তা আমরা অনেকেই জানি না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের শ্রীপুরে একটি গাভী জবাই করেন উপজেলার এক মাংস ব্যবসায়ী। জবাই করার পর সেই গাভীটির পেট থেকে মৃত বাচ্চা বের হয়। পরে কতিপয় ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে মাংস নিয়ে সটকে পড়েন সেই ব্যবসায়ী (কসাই)। এর আগেও মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ রয়েছে মাংস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।

শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রুকুনুজ্জামান বলেন, কোন প্রকার নিয়মনীতি ছাড়াই প্রতিদিন জবাই করা হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে গবাদিপশু। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা থাকলেও নিয়মিত তদারকি না করার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাংস বিক্রেতারা।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, বাজার নিয়মিত তদারকি করা হবে এবং যারা নিয়ম নীতি না মেনে পশু জবাই ও বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page