সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ করোনা ও বন্যা দূর্যোগের মধ্যে জেলা ১১টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কর্মরত ২৩৪জন আউট সোসিং কর্মীর ১২মাসের বেতন পরিশোধ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনেষ্ট সিকিউরিটি সার্ভিস এর চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন।
সুনামগঞ্জ জেলা ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালসহ জেলার ১১টি উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল বৃদ্ধির এবং মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের নির্দেশক্রমে ২০১৯-২০২০অর্থবছরে জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে আউট সোসিং এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনেষ্ট সিকিউরিটি সার্ভিসেস এর মাধ্যমে ২৩৪জন বিভিন্ন পদে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে অস্থায়ী ভাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর হতে জেলা ১১টি উপজেলাসহ সদর হাসপাতালে আয়া, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্ন কর্মী, ডোম , অফিস সহায়ক পদে কর্মীরা করোনা কালীন সময়ে যখন ডাক্তার নার্সরা করোনা কোভিড-১৯এ আক্রান্ত হয়ে ধরি মাছ না ছই পানির মতো মানুষের পাশে থেকে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তখন আউট সোসিংএ কর্মরত কর্মীরা মৃত্যুর ভয়কে জয় করে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে রোগীদের সেবা প্রদানসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। পাশাপাশি অনেকে কোভিট১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এসময় কর্মীদের বেতন ভাতা আটকা পড়ে যাওয়ার পরও মানুষের সেবা থেকে পিছ পা হয়নি এসমস্ত আউট সোসিং এর কর্মীরা । করোনা এবং বন্যায় যখন সুনামগঞ্জ দূযোর্গের মধ্যে পড়ে এসব কর্মীরা তাদের বেতন পাওয়ার দাবী জানায়। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনেষ্ট সিকিউরিটির চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মন্ত্রনালয় থেকে তাদের বেতন বিল পাশ করিয়ে এনে প্রত্যেক কর্মীর হাতে ১২মাসের বেতন তুলে দেন। বেতন পেয়ে আনন্দে দিশেহারা এসমস্ত কর্মীরা কিন্তু দুখের বিষয় বেতন পাওয়ার পর তারা জানতে পারেন তাদের আর চাকরী নেই । জানা যায় ৩০জুন ২০২০ইং তারিখে মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে আউট সোসিং এর মাধ্যমে টেন্ডারের মাধ্যমে লোক নেওয়া হবে। আনন্দের মধ্যে কর্মীরা এখন দুখের সাগরে ভাসছেন । চাকরীর মেয়াদ শেষ হলেও রোগীদের সেবা দেওয়ার অভ্যাস রয়ে গেছে অনেক কর্মীদের। বিনা বেতনে সেবা প্রদানের জন্য পড়ে রয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে। নতুন স্বপ্নের আশায় নতুন করে চাকরীর সন্ধানে। কে দেবে তাদের চাকরী? নাকি বসন্তের কোন নতুন কোকিল তাদের এসে তাড়িয়ে দিবে? নাকি আগের মত সেবা প্রদানে বহাল থাকবেন তারা এই হতাশা আর দুশ্চিন্তায় মধ্যে রয়েছেন এসব কর্মীরা।
এছাড়া আরো জানা যায় নতুন করে গত জুন মাসে টেন্ডারের আহŸান জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ এতে চারটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ড্রপ করেছেন কে পবেন কে পাবেন না এই নিয়ে শুরু হয়েছে হাসপাতালের তালবাহানা রহস্য জনক কারনে লিগ্যাল কাগজ পত্র দেওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হয়ে যাচ্ছে আন লিগ্যাল । কমিটিতে যারা রয়েছেন তাদের একজনের কারনে টেন্ডার হয়ে গেছে রি টেন্ডার। কে এই একজন? নাকি সেই ব্যাক্তি যিনি কিছুদিন আগে বদলি হয়েও এক সপ্তাহের মধ্যে আবার বহাল রয়েছেন কাল শক্তির ছায়া। এই নিয়ে শুরু হয়েছে গুনজনের আলোচনা সমালোচনা যে কিনা সুনামগঞ্জ ২৩৪জন মানুষের ভাগ্যে কুড়াল মারার ফন্দি তৈরি করছেন। কর্মীদের দাবী তারা করোনা কালিন সময়ে মৃত্যুকে সাথী করে মানুষের সেবা প্রদান করেছে তাদের আবার চাকুরী করার সুযোগ দেবেন কর্তৃপক্ষ এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন অভিজ্ঞ কর্মীরা।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন জানান,করোনা র্দূযোগের মধ্যে আমার কর্মীরা দিনরাত সাধারন রোগীদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। একসাথে এতজন কর্মীদের বেতন সময়মতো দিতে পেরে নিজের কাছে ভাল লেগেছে। কেননা একটি হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ের সকল কাজকর্ম ঐ সমস্ত কর্মী দ্বারাই সম্পন্ন হয়। কর্তৃপক্ষ যদি আবারো এই কর্মী নিয়োগের জন্য আমার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয় তাহলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলের বেতন সময়মতো পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারি।
Leave a Reply