আলমগীর হোসেন রিপনঃ
মুসলিম জাতীর পবিত্র ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আযহা অন্যতম। ত্যাগের মহিমায় মনের পশুকে কোরবানি দিয়ে মানবতাবোধ জাগ্রত করার অন্যতম এই ঈদুল আযহা। করোনা পরিস্থিতিতেও সামর্থ্য অনুযায়ী চলছে গরু,ছাগল, বেড়া, মহিষ সহ বিভিন্ন পশু ক্রয়। অনেকেই আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য ইতিমধ্যে ক্রয় পর্ব শেষ করেছে। মানা হয় মাংস বিতরণে ইসলামীক রীতিনীতি।
করোনা ভাইরাসে ইতিমধ্যে আক্রান্ত দেশের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। এর মাঝেও স্বাভাবিক চলা ফেরার জন্য দেশের বিভিন্ন শ্রেনী মানুষ পেশার মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। সরকার কর্তৃকও বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলাফেরা ও কাজকর্ম করার জন্য বলা হচ্ছে। ঈদুল ফিতরের নামাজও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী আদায় করা হয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবছর অনেকের আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে কোরবানী দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। যাহা লজ্জার কিছুই না বলে মনে করা যায়। কেননা কোরবানী হচ্ছে আল্লাহকে খুশি করার জন্য আর আল্লাহ দেখতেছেন কার সামর্থ আছে আবার কার নেই। লোক দেখানো কোরবানী যেন না দেয়া হয়।
ঈদুল আযহার নামাজও করা হচ্ছে সীমিত আকারে। ঈদগাহে নামাজ আদায়ের অনুমতিও দেয়া হয়নি। প্রয়োজনে করতে পারবে একাধিক জামাত। বিজ্ঞপ্তি, মাইকিং ও মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে জনসাধারণকে।
এবার ঈদে জনসাধারণের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কোরবানীর পশুর বর্জ্য গুলো যাতে বাড়তি রোগ ছড়াতে না পারে সেজন্য দ্রুত সেগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করা। যদিও বিভিন্ন সিটিকর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন কর্তপক্ষ ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
পরিশেষে বলবো, আপনার যদি মনের পশুকে কোরবানী দিতে না পারেন তবে লোক দেখানো কোরবানী দেয়া বন্ধ করুন। যাতে আপনি আপনার পরিবার ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আসুন ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একে অপরের সহযোগী হওয়ার শপথ গ্রহণ করি। ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিই। সচেতন ও সর্তক থাকি, সুস্থ্য ও নিরাপদ থাকি। সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
You cannot copy content of this page