শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন
পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের মুসলিমবাগ এলাকায় জেমজুট লিমিটেডের (জুট মিলের) পাট জুট হোল্ডিং এর কাজের দরপত্রকে কেন্দ্র করে করে দুই ঠিকাদারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছে ৫ জন।
বুধবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলার বোদা উপজেলায় জেমজুট লিমিটেডের প্রধান গেটের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
ঠিকাদার ইউনুস আলীর ছোট ভাই রেজাউল করিম ঘটনার দিন রাতে অখিল চন্দ্র রায় ও তার ভাই বিকাশ চন্দ্র রায়কে অভিযুক্ত করে ৯ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বোদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ঠিকাদার অখিল চন্দ্র রায় জেলার বোদা উপজেলার ময়দান দিঘী ইউনিয়নের মুসলিমবাগ এলাকার মৃত দূর্ব্য মোহন রায়ের ছেলে এবং সে ময়দান দিঘী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য অখিল চন্দ্র রায় বিভিন্ন প্রভাব দেখিয়ে বোদা ময়দানদিঘী ইউনিয়নের আরাজী গাইঘাটা এলাকার মৃত নবীর উদ্দীনের ছেলে ইউনুস আলীর কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ইউনুস আলী জেমজুট লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদারী ব্যবসা করে আসছিল।
গত ২আগস্ট জেমজুট লিমিটেড কতৃপক্ষে নিকট পাট জুট হোল্ডিং এর কাজের দরপত্র দাখিলের করেন ইউনুস আলী এবং গত ৪ আগস্ট কতৃপক্ষ তাকে কাজের অনুমতি প্রদান করলে বুধবার (৫ আগষ্ট) সকালে ইউনুস আলী ও তার শ্রমিকদের সাথে নিয়ে জেমজুট লিমিটেডের প্রধার গেটের সামনে গেলে ইউপি সদস্য অখিল চন্দ্র রায় ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইউনুস আলীসহ তার শ্রমিকদের পথ অবরোধ করে রাখে। পরে সে ইউনুস আলীর কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে তা না হলে কাজ করতে না দেয়ার হুমকি প্রদান করে। কিন্তু ঠিকাদার ইউনুস আলী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইউপি সদস্য অখিল ও তার লোকজন ঠিকাদার ইউনুস আলীর উপর দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
পরে তার শ্রমিক ও স্বজনরা ইউনুসকে রক্ষা করার জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়।
এদিকে বোদা থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়রা ইউনুস আলী ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ও অখিল চন্দ্র ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্ের ভর্তি করে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য অখিল চন্দ্র রায় জানান,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি দীর্ঘদিন ধরে জেমজুট লিমিটেড ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদারী ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু ইউনুস আলী আমাকে ব্যবসা না করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। বুধবার সকালে হঠাৎ ইউনুস আলী আমার উপর হামলা চালিয়েছে আমিও আমার আত্বীয় বোদা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্ের চিকিৎসকধীন রয়েছে।
ঠিকাদার অখিল চন্দ্র রায় ইউনুস আলী ও তার তিন ভাইয়ের নাম উøেখ্য করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে বোদা থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।
এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, বুধবার সকালে জেমজুট এলাকায় দুই ঠিকাদারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষই রাতে বোদা থানায় পৃথক ভাবে দুটি অভিযোগ করছে। অভিযোগ দুটি তদন্ত করা হচ্ছে।
Leave a Reply