এম আবদুল্লাহ সরকার -রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃফেসবুকে প্রেম পরকীয়া। অতঃপর বিয়ে। পরকিয়া ও বিয়ে করায় বাধা দেয়ার জেরে প্রথম স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা । ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের সলঙ্গার কিসামত সলঙ্গা গ্রামে।
জানা গেছে,সলঙ্গা থানার কিসামত সলঙ্গা গ্রামের শমসের আলীর মেয়ে জমিলা খাতুন (৩২) এর সাথে একই গ্রামের সাখাওয়াৎ শিকদারের ছেলে মোতালেব ( ৩৬) এর বিয়ের সংসারে ৩ টি সন্তান হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, লম্পট স্বামী মোতালেব স্ত্রী,সন্তানকে রেখে ফেসবুকে প্রেম করে লালমনির হাটের তাছলিমা নামের এক মেয়ের সাথে। দীর্গদিন ধরে পরকিয়া করে আসছিল সে। স্ত্রী তাকে বাধা দিলে নানামুখি নির্যাতন করত স্বামী। দীর্ঘদিনের পরকিয়া করায় প্রথম স্ত্রী জমিলা স্বামীর ঘর রেখে বাবার বাড়িতেই সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিল।
পরে সুযোগ বুঝে বিয়ে করে ঐ স্বামী।
বুধবার স্বামী ও ১ম স্ত্রী আত্মীয় বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে রাত ১২ টার দিকে এসে বাড়িতে শুয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার বাড়ির লোকেরা ভোর বেলা উঠে ঘরের চৌকির উপর গলায় ওড়না মোড়ানো অবস্থায় মৃত দেখতে পায়। তখন স্বামী মোতালেবকে খুজে না পেয়ে ফোন করলে সে বলে আমি মাছের আড়তে কাজে আছি বলে জানায়।
এ দিকে মেয়েটির কানে,গলায় ও নাকের গহনাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান পরিবারের অন্যান্যরা। নিহতের বাবা শমসের আলী সহ মামা পরব আলী,আয়নাল,ময়নাল সহ উপস্থিত অনেকেই অভিযোগ করে জানান,জমিলাকে ঘাতক স্বামী মোতালেব বালিশ চাপা/ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
এ ঘটনাটি নিশ্চিত করে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ছানোয়ার হোসেন জানান,জমিলা নিহত হওয়ার ঘটনা সত্য। তবে কি কারনে নিহত হয়েছে এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
লাশ পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
সলঙ্গা থানায় মমামলার প্রস্তুতি চলছে।
You cannot copy content of this page