মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর আহ্বানে-গাজীপুর হায়দারাবাদে নিজস্ব পতিত জমিতে ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন জীবন ও যুবলীগ নেত্রী উম্মে জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলা।

''গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই"।
সারা দেশব্যাপী এক কোটি চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।স্মরণ করা যেতে পারে,স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে বৃক্ষরোপণ করে 'বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি'- র উদ্বোধন করেছিলেন।এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ ইং সাল থেকে প্রতি বছর পহেলা আষাঢ় আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।এবার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষভাবে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রত্যেক নাগরিক ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগও এই কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করে চলেছে। বস্তুতঃ ফলজ,বনজ ও ভেষজ- এ তিন ধরনের বৃক্ষরোপণের যে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তা শুধু আর্থিকভাবেই দেশের জন্য ফলপ্রসূ হবে না, সারা দেশে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।প্রধানমন্ত্রী এ লক্ষ্যেই যে যেখানে অবস্থান করছেন, যার যতটুকু জায়গা রয়েছে, সেখানে বৃক্ষরোপণ করতে বলেছেন।
দেশে বায়ুদূষণ থেকে শুরু করে নানা ধরনের দূষণ বিরাজ করছে। সারা দেশে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে পারলে এসব দূষণ থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাছাড়া বৃক্ষরোপণের আর্থিক উপযোগিতাও রয়েছে। সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে, দূষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে, সর্বোপরি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে মুজিববর্ষে চলমান বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলর আগষ্ট মাসের ৩১দিনে ৩১ লক্ষ্ গাছে লাগানোর বিশেষ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অংশ হিসেবে ০৭ / ০৮ / ২০২০ইং কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শেখ সামছু ও স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় যুবলীগ নেত্রী উম্মে জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলা বলেন, মুজিব শতবর্ষকে সফল করতে ও পরিবেশ রক্ষায়, এই সামাজিক জাগরণে অংশগ্রহণ করতে পেরে একটি বিশেষ ভালোলাগা তৈরী হয়েছে।
যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন জীবন বলেন, পরিবেশ বান্ধব এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করছি আমাদের ব্যক্তিগত পতিত জমি ছাড়া ও শহরের রাস্তার পাশে বা পরিত্যক্ত ফাঁকা জমিতে সুযোগ পেলে গাছ লাগাব।