আজিজুর রহমান মুন্না,সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া উপজেলার পৃথক অভিযানে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন, খাবারে কাপড়ের রং ও সাল্টু মিশ্রণ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা দিয়ে খাবার তৈরীর দায়ে তিন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (১১ আগষ্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মঈন উদ্দিন। অভিযানে সহায়তা করেছে জেলা সেনেটরী ইন্সপেক্টর দিপু চৌধুরী , র্যাব-১২ এর এসআই আব্দুর ওয়াহাব ও র্যাবের একটি চৌকষ দল এবং জেলা আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যবৃন্দ। সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া উপজেলার পাঁচিলা বাজারের সড়কে অবস্থিত বেকারীর মালিক ফজলুল হককে
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারায় ২০ হাজার টাকা ও পূর্বদেলুয়া মায়ের দোয়া বেকারি মালিক মোঃ ফরিদুল ইসলামকে একই আইনে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও উপজেলার হাটখোলা বাজার জিন্না স্টোর এর মালিক মেয়াদোত্তীর্ন ময়দা বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় জহিরুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বেকারিতে
ক্ষতিকারক কাপড়ের রং, আয়োডিন বিহীন লবণ, সাল্টু মিশিয়ে তৈরি করা খাদ্য পণ্যে মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তিনি আরও জানান, যখন আপনি এমন কৃত্রিম রং মেশানো খাবার খাবেন, গলা থেকে বুক পর্যন্ত একধরনের জ্বালা হবে। এ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হবে। যখন এটা হজম প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন বমি বমি লাগবে, মেজাজ খিটখিটে হবে। এমনকী মাথা ব্যথাও হতে পারে। এসব হচ্ছে তাৎক্ষণিক সমস্যা।তবে দীর্ঘমেয়াদী যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় তারমধ্যে অন্যতম হলো কিডনি`র সমস্যা। চামড়ায় নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। কৃত্রিম রং, ডালডা ও অতিরিক্ত তেল ব্যবহারে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া (ওবেসিটি) ঝুঁকি থাকে। উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হরমোন তার ভারসাম্য হারাতে পারে। অর্থাৎ কৃত্রিম রং কোন ভাবেই স্বাস্থ্যের সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই খাবারে কৃত্রিম রং ব্যাবহার থেকে বিরত থাকার বিকল্প নেই। তাহলেই স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। আমরা পাব সুন্দর জীবন। জনসম্মুখে জব্দ কৃত রং এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দার ৩৭ কেজি বস্তা, সাল্টু পানিতে ফেলে ধ্বংস করা হয়।জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply