
প্রবাসী ডেস্কঃ ১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের পরে,বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর আর কেউ বিশ্বাস করত না। ৪৫ বছর ধরে স্বজন হারা বেদনা বুকে বেঁধে মানুষের সেবা করে তিলে তিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই বিশ্বাসের জায়গাটা বিশ্বদরবারে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন, এটা তার দল এবং তার নেতৃত্তের অকুণ্ঠ পরিশ্রমের ফসল আজকের উন্নয়নে গতি অপ্রতিরোধ্য। এটা কারও দান বা দক্ষিণা নয়। জাতির পিতা ছিলেন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ আর জননেত্রী শেখ হাসিনা ও একজন ক্ষণজন্মা মহাপ্রাণ।
একজন বঙ্গবন্ধু ও একজন শেখ হাসিনা এই ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব গুলি একটা জাতির জন্য যুগে যুগে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে একবারই আবির্ভূত হয়।
বাঙালি জাতির ১৮ কোটি মানুষের সেই সৌভাগ্যটা হয়েছে জাতির পিতা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মত ক্ষণজন্মা নেতৃত্বে পেয়েছেন। আর এই খোদাপ্রদত্ত নেতৃত্ব কে সংরক্ষণের দায়িত্ব বাংলাদেশের প্রতিটা জনগণের।
জাতির পিতার নেতৃত্ব প্রদানে আমরা পেয়েছি একটি দেশ, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবার একটা ঠিকানা আর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। গ্রাম হবে শহর,ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুফল পাচ্ছে প্রতিটা মানুষ। ইতি মধ্যে তিনি ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান করে ফেলেছেন। আপনার-আমার এ জমানো বিশ্বাস ধরে রাখতে পারলে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে আমাদের বেশিদিন সময় লাগবে না।
বিশ্ববাসীর সামনে আমরা এ বিশ্বাস অর্জন করতে পারছি এটা একমাত্র শেখ হাসিনার অবদান।
আসুন শোককে শক্তিতে পরিণত করে, হাতে হাত ধরে সততা পরিশ্রম এবং দেশপ্রেম ঢেলে দিয়ে উন্নত বিশ্বের, উন্নত একটি রাষ্ট্র গড়ি।
পরিশেষে ১৫ ই আগস্টে নির্মমভাবে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল সহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও অফুরন্ত দোয়া রইল একইসাথে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু!!
– লেখক
এফ এম এইচ আলী
জার্মানি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ও
জার্মান বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি।
ফ্রাঙ্কফুর্ট,জার্মানি।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply