1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন

চাকরির নামে প্রতারণা, লিটনকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০
  • ১৮৭ জন পড়েছেন

২০১৮ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনে (বিআইডব্লিউটিসি) চাকরি দেয়ার আশ্বাসে দুই লাখ টাকা নেয় প্রতারক সিকদার লিটন। দুইবছরেও চাকরি কিংবা টাকা কিছুই ফেরত পাননি নাজমুল। টাকা চেয়ে দীর্ঘদিন প্রতারক লিটনের কাছে ধর্না দিলেও টাকা তো দুরে থাক এখন উল্টো হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। গরু ও কিছু জমি বন্ধক রেখে লিটনের হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন নাজমুল। বর্তমানে অসহায় হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এই যুবক।

জানা যায়, সিকদার লিটনের বাড়ি আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চর আজমপুর গ্রামে। ওই গ্রামের সিদ্দিক শিকদারের ছেলে সিকদার লিটন। স্থানীয়দের কাছে তিনি প্রতারক ও ছদ্মবেশি অপরাধী বলেই বেশি পরিচিত। এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সিকদার লিটন। একবার তার হাতে টাকা গেলে সেই টাকা কেউ ফেরত পেয়েছেন এমন নজির নেই।

এদিকে চাঁদাবাজি, প্রতারণা, সাইবার অপরাধসহ এক ডজনের মতো মামলার আসামি প্রতারক লিটনের পেছনে কারা কাজ করছে তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে অর্ধডজন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও একটি মামলায় সাজা হওয়া এই প্রতারককে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা তেমন চোখে পড়েনি। বিভিন্ন সময় থানায় লিটনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ পৌঁছালেও সবসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে গেছেন এই প্রতারক। এর ফলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। পুলিশ বলছে, লিটনকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

ভুক্তভোগী নাজমুল বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারক সিকদার ২ লাখ টাকা নেয় তার কাছ থেকে। কিন্তু আড়াই বছর হয়ে গেলেও তাকে চাকরি কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত দেওয়া হয়নি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনে (বিআইডব্লিউটিসি)তে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লিটন ২ লাখ টাকা নেয়। সরকারি চাকরির চিন্তা করেই টাকা দিয়েছিলাম। ভাবলাম যদি চাকরিটা হয় তাহলে আমার জন্য ভালো হয়। এখন ফোন দিলে উল্টাপাল্টা কথা বলে। আবার অনেক সময় কল দিলে ধরে না। ওর (লিটনের) সঙ্গে আরো কয়েকজন লোক আছে ওই গ্রামের। তারা মিলে আমার মতো আরো অনেকের টাকা মেরে দিয়েছে।

তিনি বলেন, লিটনের নামে কয়েকজনের কাছে অভিযোগ দিতে গিয়েছি, কেউ ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনে না। কারণ ওর সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে কথা বললে ও (লিটন) সেগুলো রেকর্ড করে নেটে ছেড়ে দেয়। এজন্য কেউ কথা বলতে চায় না।

নাজমুল আরো বলেন, প্রতারক লিটন আলফাডাঙ্গা গ্রামে আসে না। আলফাডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে শুনি ওর নামে আরও বহু অভিযোগ রয়েছে। আমাকে থানার ওসি বলল সে তো (লিটন) গ্রামে আসে না। আসলে আমরা একটা ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

প্রতারক লিটনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, সে এখন নড়াইলের লোহাগড়ায় থাকে। সেখানে নাকি একটি ওষুধ কোম্পানির কাজ করছে। মাঝে মধ্যে শ্বশুরবাড়ি আসে কিন্তু গ্রামে আসে না।

এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেনকে নিয়ে ফেসবুকে নানা ধরনের অপপ্রচার ও সম্মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ আছে সিকদার লিটন ও তার ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আকরাম হোসেন। যার নং- ৯৬। ফেসবুকে অসত্য ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনায়েত হোসেনও সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এই দুটো অভিযোগ তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতির অপেক্ষায় আছে পুলিশ।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর, খুলনা ও পাবনা জেলায় সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে এসব মামলা রয়েছে। এর মধ্যে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ। মামলা নং-২৪। চাঁদা দাবি এবং প্রাণনাশের হুমকির অপরাধে এই মামলা করা হয়।

এছাড়া পাবনা জেলার আটঘরিয়ায় একটি সি.আর মামলার আসামিও সে। মামলার নং-৪৯/১৪। এই মামলাটি করা হয়েছে প্রতারণার অভিযোগে। পাবনার আমিনপুর থানাতেও করা প্রাণনাশের একটি মামলার আসামি লিটন। ২০১৪ সালের ১৮ মে মামলাটি করা হয়। অপকর্মের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৯ মে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায়।

প্রতারক লিটনকে ধরতে পুলিশের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‌লিটনের বিরুদ্ধে থানার ৭টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে । তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া লিটনের সহযোগীদেরও আমরা খুঁজছি। আর আপনাদের কাছে ওর অবস্থান জানা থাকে আমাদের জানাবেন। অপরাধি যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

জানতে চাইলে মধুখালী অঞ্চলের সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, সিকদার লিটন একজন টাউট। তার নামে একাধিক ওয়ারেন্ট আছে। তাকে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তাকে খুঁজছে। তার অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: