1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি দিবস পালন

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০
  • ২০৪ জন পড়েছেন

মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
২৬ আগস্ট ফুলবাড়ী ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে ফুলবাড়ীবাসীর প্রাণের দাবী “স্থায়ী সম্পদ ধ্বংস করে ফুলবাড়ীতে কয়লা খনি চাই না ” শ্লোাগানকে সামনে রেখে স্থানীয় সম্মিলিত অরাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠন এবং “উন্মুক্ত না ,বিদেশী না , রপ্তানী না” শ্লোাগানকে সামনে রেখে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ফুলবাড়ী শাখা পৃথক পৃথক ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে।

স্থানীয় অরাজনৈতিক সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠন সকাল সাড়ে ৯টায় ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির সামনে সীমিত আকারে জমায়েত হয়ে কালো ব্যাচ ধারণ করে, শোক র‌্যালী নিয়ে স্মৃতিস্থম্ভে পুষ্পস্থাবক অর্পণ করে শপথ গ্রহণ করে, স্মৃতিস্তম্ভে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়্। অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ফুলবাড়ী ডেকোরেটর মালিক সমিতির সভাপতি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক শেখ সাবীর আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন থানা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মুরতুজা সরকার মানিক।
অন্যন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী থানা ইলেকট্রিশিয়ান সমিতির নয়ন মন্ডল, ফুলবাড়ী টিউবওয়েল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আঃ রহমান, জুয়েলার্স মালিক সমিতির সভাপতি মানিক মন্ডল, ডেকোরেটর মিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলীপি প্রদান করেন।

অপরদিকে সকাল ১০টায় তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, আসাদ স্মৃতিস্তম্ভে জমায়েত হয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করেন, স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্প অর্পন শেষে,নিহিতদের স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল আসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটি ফুলবাড়ী শাখার সদস্য সচিব জয়প্রকাশ গুপ্ত, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিনিষ্টি লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু,আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবিন্দ্রনাথ সরেন,বাংলাদেশ কমিনিষ্ট পাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান জামান,বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পাটি ফুলবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিকদার,বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিনিষ্ট লীগ ফুলবাড়ী শাখার সম্পাদক সঞ্জিত প্রসাদ জিতু,ফুলবাড়ী কুলি ¤্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল ইসলাম,আদিবাসী বাঙ্গালী সংগ্রাম কমিটির আহব্বায়ক রামাই সরেন,গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠকনাজার আহম্মেদ,জাতীয় গণফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক হিমেল মন্ডল প্রমুখ।

তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত কর্মসূচীতে ঘোষণা করা হয় যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ দফা চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর কর্মসূচীর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের এই দিনে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল, জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং বিদেশী কোম্পানী এশিয়া এনার্জীকে ফুলবাড়ী থেকে প্রত্যাহারের দাবীতে সকাল থেকেই ফুলবাড়ীর ঢাকা মোড়ে ফুলবাড়ীসহ আশপাশের উপজেলার হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ও ফুলবাড়ী রক্ষা কমিটির নেতৃত্বে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল নিমতলা মোড়ের দিকে এগুতে থাকলে প্রথমে পুলিশ বাধা প্রদান করে। পুলিশের বাধা পেয়ে বিশাল মিছিলটি জঙ্গী রূপ নেয়। পুলিশ-বিডিআর-এর বেড়িকেট ভেঙ্গে মিছিলটি এগুতে থাকলে আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করা হয়। বিডিআরের গুলিতে এসময় নিহত হয় আল আমিন, সালেকীন ও তরিকুল। আহত হয় প্রায় ২ শতাধিক আন্দোলনকারী জনতা। আহতদের মধ্যে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরন করেছে। ঘটনার ওই দিনই ফুলবাড়ীতে অবস্থিত এশিয়া এনার্জির অফিস ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পাশাপাশি শুরু করে লাগাতার হরতাল। এতে করে বন্ধ হয়ে যায় ফুলবাড়ীর সাথে জেলা উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা। অবশেষে ৩০ আগষ্ট তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ফুলবাড়ীবাসীর সাথে ৬ দফা চুক্তি করলে ধীরে ধীরে অবস্থা স্বাভাবিক হয়। ৬ দফা চুক্তির মধ্যে ছিল- এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিস্কার, দেশের কোথাও উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা যাবে না, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপুরন প্রদান, নিহতের স্মৃতিসৌদ্ধ নির্মাণ, গুলি বর্ষণে দায়ীদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি ও আন্দোলনকারী জনগনের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ধরনের মামলা প্রত্যাহার।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: