1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimmahmudeee@gmail.com : Nasim Mahmud : Nasim Mahmud
  3. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
উত্তর ইতালি বিএনপি শাখা কমিটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান তারেক রহমানের সাক্ষাতকার বড় পর্দায় প্রদর্শন করলেন ছাত্রদল নেতা তারিক ভূল্লীতে হেযবুত তওহীদের গোলটেবিল বৈঠক: গণমাধ্যমের ভূমিকায় তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্ব ইতালি যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ ও সু সংগঠিত করতে ইতালি যুবদল লাস্পেসিয়া শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের জন্য IFAD-এর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ইতালির বিভিন্ন প্রভিন্সে যুবদল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মনফালকনে গরিঝিয়া যুবদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা রামগঞ্জে ফিরছে বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী কবির হোসেন পাটোয়ারী ঝালকাঠি–১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য’র ১০১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সাথে হাবিব খান ইসমাইলের সৌজন্যে সাক্ষাৎ  

নারীরা নিরাপত্তা পাবে কবে?

সাকিলা পারভিন
  • সময় : বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৩৯ জন পড়েছেন

বাংলার মাটিতে নারীদের দুর্দশার ইতিহাস বহু পুরনো। এই জমিন যৌন নিপীড়নের দুঃস্মৃতি বহন করে চলেছে হাজার বছর ধরে।

এই মাটিতে মারাঠা বর্গিদের নিপীড়ন কলঙ্কিত ইতিহাস হয়ে আছে। মগ ও পর্তৃগিজ দস্যুরাও বাংলায় হত্যা, ধর্ষণের কলঙ্ক রচনা করেছে। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা এদেশে অবাধে ধর্ষণ, হত্যার সঙ্গে ধর্ষণ করেছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারীরাও মিয়ানমারের আরাকান থেকে ধর্ষণের বুকচাপা আর্তনাদ নিয়ে আমাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু এখন তো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশে নেই। মারাঠা বার্গীরাও নেই, পর্তুগিজ দস্যুরাও নেই বা জমিদার প্রথা নেই। তবুও বাংলার মাটিতে ধর্ষকদের রাজত্ব!

একাত্তরে মা-বোনদের সেই আর্তনাদ কী চোখে ভাসে না ধর্ষকদের? অত্যাচারিদের বিতারিত করে নিজেরাই অত্যাচারি হয়ে পড়বে এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। বরং স্বাধীন দেশে বাঙালিরা কিছুতেই ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন সহ্য করবে না- এমনটা হওয়ার কথা ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, সভ্য পৃথিবীতে স্বাধীন দেশে বসবাস করেও বারবার আর্তনাদে আকাশ ফাটাতে হয় নারীদের। কবে নিরাপত্তা মিলবে?

এখন কান পাতলেই শোনা যায় ধর্ষণের সংবাদ। সংবাদমাধ্যমে ধর্ষণ বা ধর্ষণের পর হত্যার খবরে সয়লাব। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে যে পরিসংখ্যানটা তুলে ধারল তা গা শিউরে ওঠার মতোন। তাদের হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৮৯২টি! এছাড়া ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১৯২টি। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন। আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ৯ জন ভুক্তভোগী।

এদিকে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের হিসেব বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজারেও বেশি শিশু। অর্থাৎ গড়ে দিনে তিনজন! এই পরিসংখ্যান স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য নিঃস্বন্দেহে বড় কলঙ্ক। যুদ্ধাবস্থাতেও হয়তো কোনো দেশে এতো ধর্ষণের ঘটনা ঘটে না। তাহলে বাংলার মাটিতে কাদের বিপক্ষে কাদের যুদ্ধ চলছে? এই আর্তনাদ থামবে কবে?

স্বাধীন দেশের নারীরা রাস্তায় বেরুলে ভেতরে চাপা আতঙ্ক কাজ করে। অভিভাবকরা চিন্তায় থাকে। এই বুঝি আজ তার পালা! খিদে মিটানোর জন্য তাকেই বুঝি অনুসরন করছে কেউ! মনে হওয়াটা স্বাভাবিক নয়-কি? সিলেটে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন স্ত্রী, নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেননি। স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন একদল মানুষরুপী হায়েনা। চট্টগ্রামে মা-বাবার সামনে ৯ বাঙালি মিলে ধর্ষণ করল এক পাহাড়ি নারীকে। যশোরের সালতা গ্রামের বাক-প্রতিবন্ধী এক তরুণীও ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। গাজীপুরে কৌশলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেছে এক যুবক। অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে, বৃদ্ধদের নামে, মসজিদের ইমামের নামেও। সমাজ যেন ধর্ষকে ছয়লাব!

স্ত্রী তার স্বামীর সাথে বের হয়েও যেখানে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারলেন না সেখানে যাদের একা বাড়ি থেকে বেরুতে হয় তারা কিভাবে নিরাপদবোধ করবেন? এটা নিছক মজা ছাড়া আর কিছু নয়। সভ্য সমাজে সমান অধিকারের কথা বলে গলা ফাটানোর লোকের অভাব নেই। কিন্তু সমান অধিকারের আলোচনার ভীড়ে নারীদের নিরাপত্তা কোথায়।

এই সমাজ ব্যবস্থায় ধর্ষণের শিকার নারীকে তাচ্ছিল্যও সইতে হয়। পোশাক নিয়ে কথা উঠে। কিন্তু পোশাকই যদি ধর্ষণে উদ্বুদ্ধ করে তাহলে পাঁচ বছর বা দুই বছরের শিশুকেও কেন ধর্ষণের শিকার হতে হয়? ওই বয়সের মেয়ে শিশুরাও কী পোশাকে, শারীরীক গড়নে ধর্ষণে উদ্বুদ্ধ করে?

এই সমাজ ব্যবস্থা নারীদের সমান অধিকার দিয়েছে। শিক্ষা, কর্মস্থানসহ বিভিন্ন স্থানে নারীদের অধিকার তরান্নিত করেছে। কিন্তু এতে করে নারীদের যে পরিমান নিরাপত্তা প্রয়োজন তা কী দিতে পেরেছে। এই সমাজে নারীদের অধিকার নিয়ে কথা হয়, এই সমাজেই আবার নারীরা রাস্তায় রাস্তায় ধর্ষিত হয়। একই সমাজে দুই চিত্র সত্যি বড্ড বেমানান।

আমাদের বিবেকবোধ কোথায়? নারী জন্ম দিয়েছে, পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে। পরে কিনা তারাই নারীর পৃথিবী অন্ধকার করে দিচ্ছে!

সব শেষে বলব, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুণ, অধিকারের চিন্তা পরেও করা যাবে।

লেখকঃ শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page