1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মুজিবনগর দিবস পালন রাজশাহীতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস পালিত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন: ইতালী আওয়ামী লীগ কাতানিয়া শাখা রাজশাহীতে নিক্বণ নৃত্য শিল্পী গোষ্ঠীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে বর্ষবরণ উদযাপিত  বিএমডিএ: ইবিএ প্রকল্পে দুর্নীতি, ভোগান্তিতে গ্রামীণ কৃষক ভূল্লীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের একটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে পূঁজি করার চেষ্টা করছে ফখরুল-এমপি সুজন ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ যুবক

ষষ্ঠবারের মতো হাতবদল হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী মোহিনী মিল

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩৫১ জন পড়েছেন

কলকাতার সুতা ব্যবসায়ী মোহিনী মোহন চক্রবর্তী ১৯০৮ সালে কুষ্টিয়া শহরে ৯৯ বিঘা জমির ওপর মিলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর পাকিস্তান সরকার মিলটিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ইস্ট পাকিস্তান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনকে (ইপিআইডিসি) পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।

ষষ্ঠবারের মতো বিক্রি হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী মোহিনী মিল। পাঁচবার হাতবদল হয়ে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বস্ত্রকলটি এখন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের লিকুইডেশন বা অবসায়ন শাখার অধীনে রয়েছে। এখন চলছে এর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্যায়ন।

এ খবর নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের পাট শাখার যুগ্ম সচিব মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী।

কলকাতার সুতা ব্যবসায়ী মোহিনী মোহন চক্রবর্তী ১৯০৮ সালে কুষ্টিয়া শহরে ৯৯ বিঘা জমির ওপর মিলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর পাকিস্তান সরকার মিলটিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ইস্ট পাকিস্তান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনকে (ইপিআইডিসি) পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।

১৯৭২ সালে মোহিনী মিলকে জাতীয়করণ করে সরকার। এরপরই কারখানাটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

লোকসানে চলতে শুরু করলে ১৯৮৪ সালে শিল্পপতি নজরুল ইসলামের কাছে ২৫ কোটি ২৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয় মিলটি। মোহিনী মিলের নাম বদলে রাখা হয় ‘শাহ মখদুম টেক্সটাইল মিল’।

ব্যাংক থেকে আট কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরের বছর মিলটি চালু করা হয়। কিন্তু নতুন মালিক সরকারের চুক্তি ভঙ্গ করায় এবং শ্রমিকদের ১০ মাসের বেতন বাকি পড়ায় ১৯৮৭ সালে মিলটি লে-অফ ঘোষণা করা হয়।

১৯৯০ সালে মিলটি দখলে নিয়ে বিক্রির উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু ব্যাংক ও আগের ক্রেতা নজরুল ইসলাম মামলা করলে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বিক্রি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। মামলা এবং বকেয়া পাওনা নিয়ে জটিলতা থাকায় মিলটি আরেক দফা হাতবদল হলেও চালু করা যায়নি।

২০০৯ সালে আবার মিলটি চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। তখন দি পিপলস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস করপোরেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সরকার, মিল মালিক ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার দায়িত্ব দেয়া হয়।

সরকার ও ব্যাংকের কাছে থাকা বকেয়া পরিশোধের শর্তে আবার আগের মালিক শাহ মখদুম গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর যন্ত্রপাতি পুনঃস্থাপন করে মিলের একটি ভবনে সুতা তৈরির একটি ইউনিট চালু করা হয়। কিছুদিন পর এটিও বন্ধ হয়ে যায়।

এরপরও হাতবদল হয়েছে মিলটি। আব্দুল মতিন নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিক্রির চুক্তি করে সরকার। তারা কিছু টাকা পরিশোধ করে ২০১১ সাল পর্যন্ত।

২০১২ সালে মিল দেয়া হয় মেসার্স দিনার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এম আসলামকে। টাকা পরিশোধের জন্য তাকে সময় দেয়া হয় ২৮ দিন। তিনি টাকা দিতে ব্যর্থ হলে মন্ত্রণালয় ইনারগোটেক লিমিটেডকে মিল দিয়ে দেয়।

জমিসহ মিলটির দাম ৪৮ কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ধরে ইনারগোটেক লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারাও সময়মতো টাকা না দেওয়ায় মিলটি এখন পাট মন্ত্রণালয়ের অবসায়ন শাখার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পাট শাখার যুগ্ম সচিব মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী বলেন, মিলটির বর্তমান দামের মূল্যায়ন চলছে। এর স্থাবর সম্পত্তির মূল্যায়ন করছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আর অস্থাবর সম্পত্তির দাম নির্ধারণের জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: