1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন

লোহাগড়ায় সেতু নির্মাণে অনিয়ম-স্থান ও নকশা পরিবর্তনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩৮৩ জন পড়েছেন
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের আমাদা গ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের আওতায় একটি সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমোদিত নকশা পরিবর্তন করে সেতু নির্মাণে লাখ লাখ টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে লোহাগড়া উপজেলায় ১৬টি সেতু নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই দরপত্রের প্যাকেজ নং-৪ এ আমাদা হাজরাখালী খালের ওপর গোলাম নবীর বাড়ির পাশে সেতু নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু স্থান পরিবর্তন করে নির্ধারিত স্থানের অন্তত তিন-চার’শ ফুট দূরে হাসান মৃধার বাড়ির পাশে ৩০লাখ ৭৯হাজার ৩৬৪ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈঘর্য সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত সেতুটির গভীরতা বা মোট উচ্চতা ১৯ ফুট করার কথা থাকলেও করা হয়েছে সর্বসাকুল্যে ১৫ফুট। সে কারণে সেতুটির ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল ভাবে নির্মিত হয়েছে বলে গ্রামবাসী আশঙ্কা করছেন। এছাড়া সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক এখনো তৈরি করা হয়নি। অথচ সংযোগ সড়ক করা বাবদ বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ উত্তোলন করে মেসার্স ফারহান এন্টার প্রাইজের মালিক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা
এস,এমএ করিম ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেতুটির উইং ওয়াল তৈরিতে দরপত্রের পরিমাপ মানা হয়নি। সেতুর নিচের অংশের বেজ ঢালাইয়ে রড ও বালুর ব্যবহার দরপত্র অনুয়ায়ী হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। স্থানীয় গ্রামবাসীরা দুদকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সরেজমিনে পরিদর্শন করে সেতুর নির্মাণে অনিয়মের তদন্ত দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে আমাদা গ্রামের আব্দুর ওহাব গাজীর ছেলে সিদ্দিকুর রহমান গাজী বলেন, ‘সেতুর গভীরতা ১৯ ফুট করার কথা থাকলেও ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস,এমএ করিমের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সেতু নির্মাণে অনিয়ম করেছেন। সেতুটি যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস,এম.এ করিম অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সেতুটির স্থান পরিবর্তন করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গ্রামবাসীরা। তবে সেতুর ডিজাইন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরিবর্তন করা যায়।’
এ অনিয়মের বিষয় মেসার্স ফারহান এন্টার প্রাইজের মালিক আশরাফ মুন্সী বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডারে সেতুরকাজ পেয়েছি। কিন্তু সেতুর নিমার্ণ কাজ আমি করিনি। করেছেন সাব-ঠিকাদার উজ্বল।’ সাব-ঠিকাদার উজ্বল বলেন, ‘আমি দরপত্র মোতাবেক কাজ করেছি। কোন অনিয়ম হয়নি।’#

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page