টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২০২০ সালে মহিষমারা নেদুর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শাখা হতে এস, এস, সি পাশ করে বর্তমানে মহিষমারা কলেজের একাদশ শ্রেনীর কলেজ ছাত্র এমদাদুল হকের হত্যার প্রতিবাদে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের নেদুর বাজারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার(১৬ নভেম্বর) দুপুরে মহিষমারা, নেদুরবাজার এলাকাবাসী ও ছাত্র ছাত্রীদের আয়োজনে নেদুরবাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবব্ন্ধনে এলাকার নারী,পুরুষ,ছাত্র,ছাত্রী,এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক গন অংশ গ্রহন করেন।
এসময় বাজারের সকল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সকল স্তরের লোকজন অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইমাম হোসেন প্রধান শিক্ষক নেদুরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, শফিকুল ইসলাম সবুজ অধ্যক্ষ চাপড়ি কলেজ,ধলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম সপন, মহিষমারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক জয়দেব সরকার,ইউপি সদস্য হযরত আলী,সমাজ সেবক আলতাফ হোসেন,ডা: নিজাম উদ্দিন, আ: বাছেদ, নিহত এমদাদুল হকের পিতা সুরুজ আলী প্রমুখ। এসময় বক্তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে মেধাবী কলেজ ছাত্র এমদাদুল হকের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাসির দাবী জানান।
উল্লেখ্য নেদুর বাজার পাটপচা এলাকা হতে ২ নভেম্বর দুপুরে আনারস বাগানের কাঠাল গাছে বাঁধা অবস্হায় এমদাদুল হকের(১৮) মরদেহ উদ্ধার করছে মধুপুর থানা পুলিশ। নিহত এমদাদুল হক মহিষমারা কোনাপাড়া এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে। এমদাদুল হকের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,ঘটনার দিন এমদাদুল সন্ধায় বাড়ী হতে বের হয় জুতা এবং মশার কয়েল কিনার উদ্দ্যেশে। রাত দশটার পরও এমদাদ বাড়ী না ফেরায় এমদাদের মোবাইল নাম্বারে তার পিতা ফোন করলে নাম্বারটি বন্ধ দেখায়। পরে রাতেই সম্ভাব্য সকল স্হানে খোজ নেয় পরিবারের লোকজন। সকালের দিকে মাহফুজা নামে এক মহিলা আনারস বাগানে ঘাস কাটতে গেলে তার লাশটি দেখতে পেয়ে চিনতে পেরে নিহতের চাচা আলমগীরকে খবর দেয়। পরে ঘটনা জানা জানি হলে এলাকার লোকজন মধুপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে মধুপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। এব্যাপারে এমদাদুল হকের পিতা সুরুজ আলী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply