স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন।বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণ কোরিয়া শাখার উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পনগরী আনসানে গত ১৫ই নভেম্বর সন্ধ্যায় করোনার কারনে স্বল্প পরিসরে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মনোয়ার হোসেন মানিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি জনাব আব্দুল মতিন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম হাচান, সিনিয়র সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুট্টো,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর সভাপতি জনাব ডেভিড ইকরাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোজ প্রভাকর,সাখাওয়াত হোসেন সৈকত সাংগঠনিক সম্পাদক সোলায়মান স্বপন যুবলীগ সহ-সভাপতি রাজিবুল ইসলাম রাজিব, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দক্ষিণ কোরিয়া শাখার আহ্বায়ক আশরাফুল আলম নিল্টু ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যের শুরুতেই যুবলীগ সভাপতি দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তার বক্তব্যে বলেন
আওয়ামী যুবলীগ ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এদেশের যুব আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র,শোষনমুক্ত সমাজ অর্থাৎ সামাজিক ন্যায়বিচার,জাতীয়তাবাদ,ধর্ম নিরপেক্ষতা অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের স্ব স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার তথা জাতীয় চার মুলনীতিকে সামনে রেখে বেকারত্ব দূরীকরণ,দারিদ্র দূরীকরণ,দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারন,গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান,অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ ও আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং যুবসমাজের ন্যায্য অধিকারসমুহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের মধ্য থেকে স্বাধীনতা ও প্রগতিকামী যুবক ও যুব মহিলাদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন গড়ে তোলাই যুবলীগের উদ্দেশ্য।প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবলীগের নেতা কর্মীরা দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করে।
প্রধান অতিথি তার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে যুবলীগকে আরও গঠনমূলক ভাবে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
কেক কাটা ও সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।