1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ ২০২০ উদযাপন সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব স্থাপনেই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে : বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৫৬ জন পড়েছেন

হাকিকুল ইসলাম খোকন হযুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: পৃথিবীর সকল মানুষ হিংসা বর্জন করে পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে সংঘাত ও কলহমুক্ত উৎসবমুখর পরিবেশে অন্তত একটা দিন অতিবাহিত করলে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বন্ধুত্ব স্থাপনে পৃথিবীতে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের যুুগের আগমন ঘটবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সূচনায় গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ আয়োজিত ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপনে প্রধান অতিথি বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২৩ নভেম্বর হিংসামুক্ত বিশ^ সম্প্রীতি দিবস জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশ ও বিশ^বাসীর পালন করা উচিত। তিনি আরো বলেন, বন্ধু সমাজের সভাপতি স্বাগত বক্তব্যে বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস সূচনায় ও প্রস্তাবনা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে করেছেন, আমি এই ঐতিহাসিক প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো আগামী ৩১ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস আপনারাই পালন করার উদ্যোগ নিন। সুপথের আহ্বানে দেশব্যাপী বন্ধুত্ব স্থাপনে হিংসা বর্জনে সত্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ যে কাজ করে চলেছেন এক সময় তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। খবর বাপসনিউজ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব। ‘মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য’ এমন মন্তব্য করে রাজীব খান বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

বন্ধুত্বের বলয় সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে রাজীব খান বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে সকল ভেদাভেদ ভুলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পরিবেশ যদি শান্তিময় হয় তাহলে সকল কাজ যথাযথ হয়, কিন্তু পরিবেশ যদি সহিংসমূলক হয় সেক্ষেত্রে সকল কাজ নিষ্ফল হয়। এজন্যই সকলের মধ্যে সু-সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ’র সভাপতি হিসেবে ২০১২ সাল হতে আজ অবধি ব্যক্তি দায়বোধ থেকে নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। তিনি বলেন, সকল পর্যায়ের বিরোধ নিষ্পত্তিতে ও সকল অশান্তিপূর্ণ পরিবেশকে শান্তিময় করতে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতায় জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করলে এই দেশটি অতিদ্রুত শান্তি, সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ হিসেবে পৃথিবীর মডেল সৃষ্টি হবে।

এফ. আহমেদ খান রাজীব বলেন, ইতোমধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারক ব্যক্তিবর্গের নিকট ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের ন্যায় এবছরও আজ (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশসহ পৃথিবীবাসীকে ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপনের মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতি বছর ৩৬৫ দিনের মধ্যে অন্তত একটা দিন মানুষের প্রকাশ্য শত্রু অভিশপ্ত ইবলিশ শয়তানকে পরাজিত করার লক্ষ্যে মানবজাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উস্কানী প্রতিরোধে শয়তানের উৎস হিংসা বর্জন করে জাতি-গোত্র-বর্ণসহ সকল দলের মতাদর্শের সকল ভেদাভেদ ভুলে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বেও সমারোহে উৎসবমুখর পরিবেশে কাটানো উচিৎ।

বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি বলেন, চলমান সময়ে যুগের প্রয়োজনে সকল সংঘাত ও সন্ত্রাসমুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের পরিবেশ সৃষ্টির সহযোগিতায় বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সকল পক্ষের সেতু-বন্ধন বিবেচনায় মানবাধিকার কমিশন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ন্যায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সহযাত্রী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতাসহ জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান অথবা জাতীয়করণ করার জন্য শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নীতি-নির্ধারক মহোদয়গণকে অনুরোধ করছি।

দেশের চলমান অসহিষ্ণুতা ও আশংকাজনক সংঘাতযুক্ত বিদ্বেষমূলক পরিবেশ রোধে এবং দেশের শান্তিময় পরিবেশ তৈরিতে কলহ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সন্ত্রাসসহ সৌহার্দ্যপুর্ন সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের পরিবেশ সৃষ্টিতে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড পরিহার করে দেশের বিপদগামী মানুষকে সু-পথে আসার আহবান জানিয়ে রাজীব খান বলেন, দেশের চলমান সামাজিক পরিবেশ উত্তপ্ত করতে কোনো কোনো পক্ষ উস্কানি ও সংঘাতযুক্ত আচরণ করছে। আবার কিছু বিপদগামী ব্যক্তি ধর্ষণসহ নানাবিধ ঘৃণিত কর্মকান্ড করে সমাজ ও দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এমতাবস্থায় কলহ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সন্ত্রাসসহ সকল অনৈতিক কর্মকান্ড রোধে সকলের মাঝে পাপবোধ জাগ্রত করতে কোনো এক পক্ষকে বন্ধুত্বের বলয়ে আবদ্ধ হয়ে দেশের বিপদগামী মানুষকে সু-পথের আহবান করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এরই লক্ষ্যে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের পক্ষ থেকে দেশের বিপদগামী মানুষকে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড পরিহার করে সু-পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় তিনি মানুষজাতির পক্ষে মহান আল্লাহ ও তার রাসূলের উদ্দেশ্যে একযোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে প্রতি বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ পালনের ঘোষণা দেন। আগামী বছর থেকে এই এই ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’-এ ভালো কর্মের জন্য দেশবরেণ্য ৫০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা করছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় মাানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, চলচিত্র পরিচালক ও গীতিকার জুলহাস চৌধুরী পলাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর ইসলাম, বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, হাবিবুর রহমান, রাজু আহমেদ খান, হারুন অর রশিদ, সাংবাদিক নেতা ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বন্ধু সমাজের সঙ্গীত পরিবেশন করেন বন্ধু সমাজের সঙ্গীত শিল্পী আলী আসগর।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page