মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যুরাল, ছবি নাকি সরকার? কোনটা? নাকি ডালমে কুছ কালা হে? ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রথমে মূর্তি/ ভাস্কর্য / ম্যুরাল/ ছবি সরাতে হবে এটা কেমন যুক্তি? মেনে নিলাম মূর্তি সরিয়ে দিলো তাহলে কি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হয়ে যাবে? ১৯৭১ সালের পর থেকে এতদিন আমরা যে গুনাহ করলাম তার দ্বায়িত্ব কে নিবে আপনারা কেনো এই আন্দোলন আগে করলেন না? এবার কি হাসিল করতে চান? রাসূল সাঃ আগে কালেমার দাওয়াত দিয়েছে নামাজ রোযা পালন করেছেন তার বহু বছর পর মক্কা বিজয় করে মূর্তি ভেংগেছেন যেগুলো কে পূজা করা হতো,, আমাদের দেশে যেসকল ভাস্কর্য আছে সেগুলো কে পূজা করা হয় না। বিশ্বের মুসলিম সব দেশেই তাদের নেতা বা জাতীয় প্রতিকের ভাস্কর্য আছে যা সেই দেশের ইতিহাস সংস্কৃতি কে বহন করে। যদি ইসলামী রাষ্ট্র বা শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতেই চান তাহলে আগে টাকা থেকে ছবি সরান, তারপর প্রতিটা সরকারি আধা সরকারি সকল অফিস / প্রতিষ্ঠান থেকে ছবি সরান, জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড থেকে ছবি সরান। সুদের ব্যাবাসা ব্যাংক গুলো বন্ধ করেন। এনজিও গুলো বন্ধ করেন। নামাজ- যাকাত কে বাধ্যতা মুলক করেন, নারী নেতৃত্ব বন্ধ করেন। শুধু বঙ্গবন্ধু আর জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য ভেংগে যদি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হয় তাহলে আমি বলবো আপনাদের আন্দোলনে স্বার্থ আছে। কোরআন হাদীস দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হলে আহলে বাইত বা আওলাদে রাসূল সাঃ বা আওলাদে খোলাফায়ে রাশেদিন রহঃ এর নেতৃত্বে রাসূল সাঃ রেশালাত কে মানতে হবে। আপানারা ভাস্কর্য ভেংগে ফেলতে বলছেন অথচ সারা দেশে যতটা মন্দির গীর্জা আছে যেগুলোতে রীতিমত পূজা হয় সেগুলো কি বন্ধ করতে পারবেন? ইসলাম কি সেই শিক্ষা দেয়? আজ দেশের উন্নয়নে সকল ধর্মের মানুষের ট্যাক্সের টাকা আছে। যাকাতের টাকা দিয়ে দেশের কোন উন্নয়ন টা হয়েছে দেখান, এতিমখানা ও কাওমি মাদ্রাসা ছাড়া। শুরু করা উচিত যেইটা দিয়ে সেইটা দিয়েই শুরু করেন অহেতুক মাঝখান থেকে শুরু করে বিভ্রান্তি করবেন না। তিনটা আইন বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করেন নামাজ, যাকাত আর রাসূল সাঃ এর রেশালাত। আমার যুক্তি তে ভুল থাকতে পারে আপনারা সেটা সংশোধন করে দিবেন, ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলবেন। বিজয়ের মাসে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ধন্যবাদ।
[লেখক : হুমায়ুন কবির, রাজশাহী ]
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply