1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম

শুভ জন্মদিন জাতির পিতার হাতে গড়া অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি ভাই: এফ এম এইচ আলী

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫৭২ জন পড়েছেন

প্রতিদিনের সময় ডেস্কঃ

শেখ ফজলুল হক মনি বেঁচে থাকবেন জাতির পিতার আদর্শের মাঝে।বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি ও স্বাধিকার আন্দোলনের নক্ষত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের সৃজনশীল যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স তথা মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান কমান্ডার শেখ ফজলুল হক মনি ১৯৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় ঐতিহাসিক শেখ পরিবারে জন্ম নেন। তার বাবা মরহুম শেখ নূরুল হক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভগ্নিপতি। মা শেখ আছিয়া বেগম বঙ্গবন্ধুর বড়ো বোন। ছাত্রজীবন থেকেই মনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দেন। ১৯৬০-১৯৬৩ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় তিনি গ্রেফতার হন এবং ছয় মাস কারাভোগ করেন। ১৯৬৪ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও পূর্ব পাকিস্তানের তত্কালীন গভর্নর আবদুল মোনেম খানের কাছ থেকে সনদ নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান এবং সরকারের গণবিরোধী শিক্ষানীতির প্রতিবাদে সমাবর্তন বর্জন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ডিগ্রি প্রত্যাহার করে নেয়। পরবর্তী সময়ে তিনি মামলায় জিতে ডিগ্রি ফিরে পান। ১৯৬৫ সালে তিনি পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন এবং দেড় বছর কারাভোগ করেন। তার রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম বড়ো চ্যালেঞ্জ ও কৃতিত্ব ১৯৬৬ সালের ৭ জুনে ৬ দফার পক্ষে হরতাল সফল করে তোলা। শেখ মনি ছিলেন ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের কর্মসূচি প্রণয়নের অন্যতম প্রণেতা। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবকদের সংগঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গড়ে তুলেছিলেন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ’। তিনি সংগঠনটির দায়িত্ব দেন নিজের ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ মনিকে। দুই বছরের মাথায় কংগ্রেসে শেখ মনিই যুবলীগের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারসহ আরো যাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিও ছিলেন।
তখন শেখ ফজলে শামস পরশের বয়স ছিলো ছয় বছর ও তার ছোটো ভাই শেখ ফজলে নূর তাপসের বয়স ছিলো চার বছর। সহোদর শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও শেখ ফজলুল করিম মারুফ।
শেখ মনির বড়ো ছেলে ৫১ বছর বয়সি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে আবার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। শেখ ফজলে নূর তাপস পেশায় একজন আইনজীবী। ঢাকা-১০ আসনে একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস গত তিন মেয়াদে তার দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। অত্যন্ত সজ্জন, বিনয়ী ও স্বল্পভাষী তাপস প্রতিনিয়তই জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন।
জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য যুবলীগকে দেশপ্রেম নিয়ে জন্য কাজ করতে হবে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার জন্য আহব্বান জানাচ্ছি।

পরিশেষে,
স্বাধীনতাযুদ্ধে,দেশ, দল, জাতি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতির পিতার পরিবারসহ সকল শহীদদের প্রতি
শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
শেখ ফজলুল হক মনি ভাইয়ের জন্মদিনে তার পরিবার ও বিশ্ববিজয়ী নেত্রী উন্নয়নের জাদুকর বঙ্গবন্ধু কন্যা : সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি রইল শ্রদ্ধা ভালবাসা দোয়া।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু!!!

– লেখক: জার্মানি প্রবাসী

এফ এম এইচ আলী
আওয়ামী লীগের একজন কর্মী
ও জার্মান বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক, বিবিসি বাংলা।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: