1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন

শার্শায় বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছে নতুন উদ্যেক্তা রিংকু

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৪৩ জন পড়েছেন

সেলিম রেজা তাজ,ব্যুরো চীফঃ-
যশোরের শার্শায় বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন রিংকু নামের এক নতুন উদ্যেক্তা। বর্তমানে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হওয়া সম্ভব।

দিন দিন নতুন করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করতে গিয়ে কৃষি জমির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। এমন সংকটকালীন সময়ে বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রযুক্তি নতুন সম্ভাবনা বয়ে এনেছে। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে কোনো পুকুর, খাল-বিল কিংম্বা নদী-নালার প্রয়োজন হয় না। বরং বাড়ির ছাদ খালি জায়গা অথবা উঠানে ইট-সিমেন্ট দিয়ে ট্যাংকি তৈরি করে অল্প জায়গায় সারা বছরে মাছ চাষ করা যায়। এমনকি গৃহবধূরা পরিবারের কাজের পাশাপাশি নিজ বাড়িতে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে পারেন।

শার্শার নতুন উদ্যেক্তা রিংকু আমিষের চাহিদা পূরণে বাড়ির উঠানে ১ টি ১০ হাজার লিটার ট্যাংকে বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে শিং মাছ চাষ করছে।

ডিজিটাল প্রযুক্তির বদৌলতে ইউটিউবে বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে উৎসাহী হয়ে ৭১ বাংলা টেলিভিশনের প্রতিনিধি সেলিম রেজা তাজের পরামর্শে ও বেনাপোল বায়োফ্লক ফিস ফার্মের সহযোগীতায় পরিক্ষামূলক ভাবে ১০ হাজার লিটার ট্যাংকে শিং মাছ চাষ করছেন। চাকরির পিছনে না দৌড়ে প্রবাসী বাবা তাইজেলের সহযোগিতায় বাড়তি কিছু আয়ের লক্ষে স্বল্প পরিসরে নিজ বাড়িতে প্রথম এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন।

৭১ বাংলা টেলিভিশনের যশোর বেনাপোল প্রতিনিধি সেলিম রেজা তাজের কাছে বায়োফ্লক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব সহজেই যে কেউ অল্প পুজিতে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে পারেন। এমনকি গৃহবধূরা প্রশিক্ষণ নিয়ে পরিবারের কাজের পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে পারেন। আগামীতে সরকারি সহযোগীতা পেলে বেকার যুবকেরা বড় পরিসরে এই প্রকল্পকে বিস্তৃত করতে পারবে। চীন, ইন্দোনেশিয়া এবং পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ পদ্ধতিতে মাছের জন্য খাবার খুব কম দিতে হয়। বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছের মলমূত্র এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণ করে তা পুনরায় মাছকে খাওয়ানো যায়। এতে খাবারের খরচ অনেক কমে যায়।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ লাভজনক। তবে আমাদের দেশে এর প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার এখনো শুরু হয়নি। রিংকু ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাছের চাষ শুরু করেছে। আমরা রিংকুকে যথাযথ পরামর্শ দিয়ে আসছি। যে কেউ এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের দেশে বায়োফ্লক পদ্ধতি মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলছে।

সার্বিক সহযোগিতায়ঃ-
বেনাপোল বায়োফ্লক ফিস ফার্ম বেনাপোল,শার্শা,যশোর।
মোবাইলঃ- ০১৭১৪-১৭৮৪৩৮

 

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: