1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

লোহাগড়ায় সমাজসেবা কর্মকর্তা তমিজের দূর্নীতি ঢাকতে দৌড়ঝাঁপ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • সময় : রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৯৬ জন পড়েছেন

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ তমিজ উদ্দিনের দূর্নীতি ঢাকতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে, স্থানীয় চেয়ারম্যান, রাজনীতিবীদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তার নিকট ধর্ণা ধরে অনিয়ম ঘুষ-দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে।

সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও তমিজ নিজেকে বাঁচাতে তার বড় এজেন্ট বিউটি রাণী মন্ডলকে মোবাইলের মাধ্যমে ডেকে দফায় দফায় ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বসে ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য গোপনে সলাপরামর্শ করেছে। সাংবাদিকদের আর কোন তথ্য না দেওয়ার জন্য বিউটি রাণীকে মিথ্যা আশ্বাসে ভাতা কার্ডের ২০ হাজার টাকা ফেরতসহ সব কার্ড টাকা ছাড়া করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা গেছে।

সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ তমিজ উদ্দিনকে ঘুস ছাড়া কিছুই বোঝেন না। একটানা ১৩ বছর লোহাগড়া সমাজসেবা অফিসে কর্মরত থাকা কালীন ৫ বছর অফিসারের দায়িত্বও পালন করেছে। সে সময়ে তিনি বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে ঘুষ নিয়েছে কোটি টাকা। অনেকে টাকা দিয়েও বছরের পর বছর ঘুরছে অসহায় ভাতা প্রার্থীরা। সরকারী সামাজিক সুরক্ষা ভাতা এখানে তমিজের সুরক্ষার অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজেন্ট বা জনপ্রতিনিধিরা ভাতার কার্ড বাবদ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা করে নিলেও তমিজ উদ্দিনকে ২ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা করে দিয়ে থাকেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ তমিজ উদ্দিন বর্তমান ২১ হাজার টাকা বেসিক বেতন হলেও তিনি নড়াইল সদরের তুলারামপুর গ্রামের নিজ এলাকায় ৯ একর জমি ক্রয় করেছে। যার বর্তমান মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। লোহাগড়া পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্র লক্ষ্মীপাশা এলাকায় ৫শতক মূল্যবান জমি রয়েছে। যার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। তাছাড়া নামে-বেনামে আরও সম্পদ রয়েছে, রয়েছে ব্যাংক ব্যালেন্সও।
লোহাগড়া সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার পদে চাকুরি করে হঠাৎ এতো টাকার মালিক কিভাবে হলো এমন প্রশ্নের জবাবে (তমিজ উদ্দিন) সাংবাদিকদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ #

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

%d bloggers like this: