অবশেষে এই প্রথম সরকারি তিতুমীর কলেজের ইতিহাসে সফলভাবে সম্পন্ন হলো “হাল্ট প্রাইজ অ্যাট গভঃ তিতুমীর কলেজ” অন-ক্যাম্পাস প্রোগ্রাম।
বর্তমানে ‘হাল্ট প্রাইজ’ হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবসায় উদ্যোগ প্রতিযোগিতা। যার আয়োজক যৌথভাবে জাতিসংঘ ও বিল ক্লিনটন ফাউন্ডেশন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্ট এই প্রতিযোগিতার নাম দিয়েছে ‘শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার’। প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই প্রতিযোগিতার সুবাদে। সমস্যার সমাধান ও সেই সমাধান থেকে ব্যবসার সুযোগ তৈরির জন্য বিজয়ী দল পুরষ্কৃত হয় ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার (সাড়ে ৮ কোটি টাকা)। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অন-ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের দরুন সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের সুযোগ পান। যেখান থেকে বিজয়ী দলটি জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহন করে বিজয়ী হলে সুযোগ পায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহন করার। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় এবার সরকারি তিতুমীর কলেজেও সফলভাবে সম্পন্ন হলো এই প্রোগ্রামটি। যার সার্বিক নেতৃত্বে ছিলেন উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০১৬-১৭ সেশনের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র “তাওহিদুল ইসলাম খান”। কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি ও নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যেই হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশনের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করে নিজ প্রতিষ্ঠানে এই বছর অভিষেক করিয়েছেন “হাল্ট প্রাইজ অ্যাট গভ তিতুমীর কলেজ”। প্রোগ্রামটি সফল করার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে হাল্ট প্রাইজের পরিচিতির জন্য রাখা হয় ইনফো সেশন এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিকাশের জন্য রাখা হয় কেস ক্রাকিং গাইড। এছাড়াও সঠিক টিম নির্বাচনের জন্য প্রাথিমিক নির্বাচনী রাউন্ড এবং এরপর চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য গত ২৭ ডিসেম্বর আয়োজিত হয় ফাইনাল, যেখানে বিচারক হিসেবে ছিলেন মো. আদনান হোসাইন, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ইট’স হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন (আই এইচ এফ), মাইসা লুবাবা, চিফ এক্সেকিউটিভ অফিসার, প্রতিভা এবং মো. নাজমুল হুদা, ডেপুটি ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ব্যাংক। বিচারকদের রায়ে ক্যাম্পাসের বিজয়ী টিম নির্বাচিত হয় টিম “ফুড প্রোভাইডার”।
এই করোনা কালীন সময়েও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন উদ্যোগ ও কাজ খুবই অসাধারণ, যা কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন তাওহিদুল ইসলাম খান ও তার টিম। তার ভবিষ্যত ভাবনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান “সরকারি তিতুমীর কলেজকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে উপস্থাপন করা এবং শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্লাটফর্মগুলো তৈরি করা, যেখানে তারা নিজেকে ও নিজের প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে যোগ্যতার সঠিক পরিচয় দিতে সক্ষম হবে।” যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে এমন উদ্যোগ যেন ছিল সময়ের দাবিমাত্র।
Leave a Reply