রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে রক্তাক্ত একুশ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে নিন্দা জ্ঞাপন-প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা ১২ টায় নগরীর মুনলাইট গার্ডেন কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার-এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা'র সঞ্চালনায় রক্তাক্ত একুশ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে নিন্দা জ্ঞাপন-প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রেজওয়ানুল হক পিনু মোল্লা এবং পবিত্র শ্রীমদ্ভগবত গীতা থেকে পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার। এরপর একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

দিনের প্রতিপাদ্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। এরপর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সন্মানিত নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে প্রফেসর ড. পি.এম শফি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মোঃ মতিউর রহমান এবং প্রফেসর ডাঃ এস. আর. তরফদার বক্তব্য রাখেন । রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সন্মানিত নেতৃবৃন্দের সহ-সভাপতি মন্ডলীর মধ্য থেকে বক্তৃতা রাখেন এ্যাড ইব্রাহিম হোসেন, অধ্যক্ষ এস.এম. একরামুল হক, আমজাদ হোসেন নবাব, এ্যাড. মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ এবং এ্যাড. আলহাজ্ব মোঃ জাকিরুল ইসলাম সান্টু । যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্ডলীর মধ্য থেকে বক্তৃতা রাখেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু, পবা-মোহনপুর আসনের এমপি আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ আয়েন উদ্দিন এবং অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল। সাংগঠনিক সম্পাদক মন্ডলীর মধ্যে বক্তৃতা রাখেন এ.কে.এম আসাদুজ্জামান এবং মোঃ আলফোর রহমান ; এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তৃতা রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিন্নাতুন্নেসা তালুকদার, মোবাইল ফোনে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাগমারা আসনের মাননীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ এনামুল হক ; বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি এ্যাড. আদিবা আনজুম মিতা এবং জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনা'র নাতনী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডাঃ আনিকা ফারিয়া জামান অর্ণা । জেলা পর্যায়ের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সন্মানিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মন্ডলীর মধ্য থেকে বক্তৃতা রাখেন কৃষক লীগ সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম বাবু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মর্জিনা পারভীন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবদুল্লাহ্ খাঁন, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মিজানুর রহমান রানা। জেলাধীন সকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সন্মানিত সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা সমূহে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং মেয়রগণের মধ্যে থেকে বক্তৃতা রাখেন চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফকরুল ইসলাম এবং মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. মোঃ আব্দুস সালাম ।

এ ছাড়াও আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব আব্দুর রহমান মোল্লা, মোঃ মইনুদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ নূরুল ইসলাম এবং বদিউজ্জামান বদি চেয়ারম্যান। জাতীয় কমিটির সন্মানিত সদস্য আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানুল হাসান দুদু, সাইফুল ইসলাম দুলাল, শরীফ খাঁন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মোঃ আব্দুস সামাদ মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. এজাজুল হক মানু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাস রানা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহবুব হাসান রাসেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল করিম শিবলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. পূর্ণিমা ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মামুনুর রশিদ সরকার মাসুদ, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব উল আলম মুক্তি, শ্রম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রায়হানুল হক রায়হান, নকিবুল ইসলাম নবাব, আ.ন.ম অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম তাজুল, মোঃ আক্কাস আলী, অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, শরীফুল ইসলাম, মোঃ আবু বক্কর, আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহীদুজ্জামান শহীদ, সদস্য সরদার জান মোহাম্মদ, খাদেমুন নবী চৌধুরী, নিলীমা বেগম, সুরঞ্জিত কুমার সরকার এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাড. নাসরিন আক্তার মিতা । বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল, পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা নার্গিস শেলী এবং সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুন, জেলা তাঁতী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মাইনুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব মাজদার রহমান মুকুল, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, জেলা মোটর শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলে রহিম খোকন প্রমুখ।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক তাঁদের বক্তৃতায় বলেন-১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেও ঘাতকেরা বসে থাকেনি। ২০০৪ সালে জামাত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। কিন্ত নারীনেত্রী আইভি রহমান সহ ২৪ জন নিহত হলেও সৌভাগ্যবশতঃ প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তাঁরা আরো বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। সুতরাং সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান তাঁরা।