1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimmahmudeee@gmail.com : Nasim Mahmud : Nasim Mahmud
  3. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে নয়া দিগন্তের ২১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কুষ্টিয়ায় এবারের জাতীয় পর্যায়ের লালন উৎসবে গাইলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বাউল রুমা ঠাকুরগাঁওয়ে ‘কালবেলা’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ঠাকুরগাঁওয়ে জাকের পার্টির সাংগঠনিক জনসভা অনুষ্ঠিত ভূল্লী থানায় ৩৫ পিস ট্যাপেন্ডালসহ যুবক আটক উত্তর ইতালি বিএনপি শাখা কমিটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান তারেক রহমানের সাক্ষাতকার বড় পর্দায় প্রদর্শন করলেন ছাত্রদল নেতা তারিক ভূল্লীতে হেযবুত তওহীদের গোলটেবিল বৈঠক: গণমাধ্যমের ভূমিকায় তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্ব ইতালি যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ ও সু সংগঠিত করতে ইতালি যুবদল লাস্পেসিয়া শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের জন্য IFAD-এর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে ইউনুস আলী খানের বার্তা

সংবাদ দাতার নাম
  • সময় : সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৯৯ জন পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানি শাখার সম্মানিত সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং জার্মান আওয়ামী লীগের প্রথম সহ-সভাপতি জনাব ইউনুস আলী খান ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বার্তা প্রদান করেছেন :

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসী ও প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। আমি এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান-কে যাঁদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার পরিচালনার মাধ্যমে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ত্রিশ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থনকারী সকল স্তরের জনগণ ও বিদেশি বন্ধুদেরকে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামের যে পথ চলা শুরু হয়, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭০ এর নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকার আত্মপ্রকাশ করে। এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা ও যুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণে মুজিবনগর সরকার যে ভূমিকা পালন করছে তা বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবগাথার স্বাক্ষর হয়ে থাকবে।

অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ২০৪১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এ জন্য ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ। আমি মুজিবনগর দিবসে দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহবান জানাচ্ছি।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে- এই প্রত্যাশা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page